প্রেম-কাতর গোয়েবলস

Wednesday, January 12, 2011

নাৎসি জার্মানির প্রচারবিষয়ক হোতা জোসেফ গোয়েবলস একাধিক প্রেম করছেন। খুঁড়িয়ে হাঁটা এই জার্মান নেতার অন্যতম আগ্রহ ছিল নারীদের যৌনমিলনে প্রলুব্ধ করা।

ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ইতিহাসের অধ্যাপক পিটার লঙেরিচের লেখা একটি বইয়ে এসব কথা বলা হয়েছে। বইয়ে বলা হয়, পোলিওতে আক্রান্ত গোয়েবলস ছিলেন বিকৃত রুচির ও যৌনতায়-আচ্ছন্ন এক ব্যক্তি।
জার্মান অধ্যাপক লঙেরিচ প্রথমবারের মতো গোয়েবলসের রেখে যাওয়া ৩০ হাজারেরও বেশি নথিপত্র দেখার সুযোগ পান। এই অধ্যাপকের লেখা ৯১২ পৃষ্ঠার জোসেফ গোয়েবলস: বায়োগ্রাফি বইতে বলা হয়, ১৬ বছর বয়সে এক সহপাঠীর সৎমায়ের প্রতি আকৃষ্ট হন গোয়েবলস।
নথিপত্রগুলোতে গোয়েবলসের অন্যান্য প্রেম সম্পর্কেও বর্ণনা ছিল। ১৯১৭ সালে বনে পড়াশোনার সময় দুই নারীর সঙ্গে প্রেমের কথাও উল্লেখ ছিল সেখানে।
চেক অভিনেত্রী লিডা রারোভার প্রতিও আকৃষ্ট হন গোয়েবলস, যা হিটলারকে ক্ষুব্ধ করেছিল। পিটিআই।

বায়ান্নতেই আইখম্যানের হদিস জানত জার্মানি

Monday, January 10, 2011

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী অ্যাডলফ আইখম্যানের আর্জেন্টিনায় লুকিয়ে থাকার খবর জানত পশ্চিম জার্মানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ কর্নেল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে আত্মগোপন করেন। জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার অবমুক্ত নথিপত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে দেশটির বিল্ত পত্রিকা।
গত শনিবার পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, ১৯৬০ সালে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাতে ধরা পড়ার আগে প্রায় এক দশক আর্জেন্টিনায় 'রিকার্ডো ক্লেমেন্ট' ছদ্মনামে আত্মগোপন করে ছিলেন আইখম্যান। তাঁর এ গোপনবাসের কথা পশ্চিম জার্মানি ১৯৫২ সালের গোড়ার দিক থেকেই অবগত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৩৯-১৯৪৫ সাল) জার্মান অধিকৃত পোল্যান্ডের বিভিন্ন নির্যাতন শিবিরে লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করে জার্মানির নাৎসি বাহিনী। নিরস্ত্র ইহুদিদের ট্রেনে করে নির্যাতন শিবিরগুলোতে নিয়ে যাওয়া হতো। নাৎসিদের কুখ্যাত এসএস বাহিনীর প্রধান হাইনরিশ হিলমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন আইখম্যান। যুদ্ধের পর তাঁকে আটক করা হলেও তিনি হাজতখানা থেকে পালিয়ে আর্জেন্টিনায় পাড়ি জমান। সেখান থেকে মোসাদের সদস্যরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে আসেন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ দায়ে আইখম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ১৯৬২ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিল্ত তাদের প্রতিবেদনে জানায়, আইখম্যান-সংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ পুরোপুরি উন্মুক্ত করতে অনিচ্ছুক ছিল জার্মান গোয়েন্দারা। কারণ, জার্মানি ও ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ গোপন আঁতাতের মাধ্যমে আইখম্যানকে বিচারের মুখোমুখি না করে আর্জেন্টিনায় পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল_এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে যাবে। তবে জার্মান গোয়েন্দা বিভাগ ১৯৫৮ সালে ওয়াশিংটনকে আইখম্যানের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়েছিল বলে বিল্ত জানায়। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু