ভারতে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলোর বিলাসিতা ও জৌলুস রীতিমতো পাঁচতারকা হোটেলের মতো। এমনই একটি হাসপাতালে মা হয়েছেন বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সেভেন হিলস নামের ওই হাসপাতালে একটি স্যুটে এক রাত অবস্থানের খরচা ২০ হাজার রুপি। এর সঙ্গে শুল্ক তো আছেই। আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিত্তশালীরা অসুস্থ হলে এসব বিলাসবহুল হাসপাতালে যান। হাসপাতালগুলো রোগীদের চিকিত্সার চেয়েও বেশি কিছু দেয়। ভিন্ন ধারার এই হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে টাকাও লাগে কাঁড়ি কাঁড়ি। গরিবদের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। বিলাসবহুল ওই হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতাল লিমিটেড, ফর্টিস লা ফেম, হিরানন্দনি হাসপাতাল, সেভেন হিলস হাসপাতাল প্রভৃতি। এসব হাসপাতালে অভিজাত শ্রেণীর বিশিষ্ট রোগীদের জন্য এমন ব্যবস্থা রয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় সেখানে বসেই কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বা মন্ত্রী তাঁর দপ্তর চালাতে পারবেন। বিলাসী বিছানা, চাহিদা অনুযায়ী খাবারদাবারের বাইরে হাসপাতালগুলোর প্রতিটি স্যুটে ওয়াইফাই, বড় এলইডি টিভিসহ অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সমাহার ঘটানো হয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের একটি স্যুটে এক রাত কাটাতে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ হাজার রুপি। দক্ষিণ দিল্লির ফর্টিস লা ফেমে এই খরচ প্রায় ৩৭ হাজার রুপি। এই খরচে নয়াদিল্লির পাঁচতারকা হোটেল দ্য ওবেরয়ে দুই রাত থাকা যায়। মুম্বাইয়ের হিরানন্দনি হাসপাতালের একটি স্যুটে এক রাত থাকার খরচ আসে ৩০ হাজার রুপি। সেভেন হিলস হাসপাতালে এই খরচ ২০ হাজার রুপি। আর এই খরচের মধ্যে শুল্ক অন্তর্ভুক্ত নয়। ফর্টিস লা ফেমে সন্তান জন্ম দেওয়ার দুই দিনের একটি প্যাকেজ আছে। এতে খরচ আসতে পারে চার-পাঁচ লাখ রুপি। অ্যাপোলো হাসপাতালের পরিচালক অনুপম সিবাল দাবি করেন, তাঁদের সেবার মান অন্য সব হাসপাতালের চেয়ে ভালো। তাঁরা রোগীকে ভিন্ন স্বাদ দেন। দেশ, জাতি, ভাষা এমনকি ধর্মভেদে বিভিন্ন রোগীর চাহিদার সবকিছুই মেটানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। ফর্টিস লা ফেম হাসপাতালের এক কর্মকর্তার দাবি, তাঁদের দেওয়া কিছু সুযোগ-সুবিধা বিশ্বের মধ্যে সেরা।
Home »
» ঐশ্বরিয়ারা যে হাসপাতালে যান
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
Post a Comment