দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে চায় ভুটান

Thursday, January 13, 2011

বাংলাদেশকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করবে ভুটান। তবে এর জন্য বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা প্রয়োজন। পাশাপাশি ভুটান এ দেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলের সুরমা হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লিয়ন চোয়েন জিগমে ওয়াই থিনলে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লিয়ন চোয়েন জিগমে ওয়াই থিনলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভয়াবহ বিদ্যুৎ ঘাটতির কথা ভুটান সরকার জানে। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকেও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। ভুটান বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ভুটানে এখন চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রয়েছে এবং ২০২০ সালের মধ্যে আরো ১০ টি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে। তবে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে হলে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার প্রয়োজন। ভুটান সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের যোগাযোগ সন্তোষজনক নয়। এ বিষয়ে আরো সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভুটান লাভবান হতে চায়। বন্দর দুটির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই ভুটান থেকে এ দেশে প্রতিনিধি পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
বাণিজ্য সহযোগিতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জিগমে বলেন, ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিধি ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০০ মিলিয়নে উন্নীত করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
সার্কের চেয়ারপারসন হিসেবে তাঁর চলতি মেয়াদে আঞ্চলিক এ সংস্থার অগ্রগতি প্রসঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর সম্মেলনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকের মাধ্যমে সার্ককে আরো গতিশীল করার প্রয়াস চলছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সার্ক ঘোষণায় এসেছে। তিনি বলেন, জলবায়ু সমস্যা শুধু হিমালয় অববাহিকায় নয়, এর বিস্তার এখন উপকূল পর্যন্ত। এ অঞ্চল সার্কের মাধ্যমে মেক্সিকোর কানকুন জলবায়ু সম্মেলনে অভিন্ন অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত দুটি সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটান সরকার বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিতে আগ্রহী। স্বাস্থ্য খাতে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ থেকে ভুটানে চিকিৎসক নিয়োগের সুযোগ করে দেবে। অন্যদিকে সংস্কৃতি বিনিময়বিষয়ক সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে আরো বেশি ভুটানি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে বলে তিনি আশা করেন।
এ ছাড়া সংগীত, চলচিত্র, গ্রন্থ ও সাংবাদিকদের সফর বিনিময়ের সুযোগ থাকবে এ স্মারকের মাধ্যমে, যা দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করবে বলে মনে করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগমে। তিনি গণমাধ্যমকে ভুটানের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে বলেন, অন্য তিন স্তম্ভের মতো গণমাধ্যমকেও নিরপেক্ষ হতে হবে এবং কেবল আর্থিক লাভের দিকে না ঝুঁকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করার মানসিকতা থাকতে হবে।
ভুটানের ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’ নীতি সম্পর্কে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগমে বলেন, বিশ্ব পুঁজিবাদের দিকে ঝুঁকলেও এর অগ্রগতি স্থায়ী নয়। এ ক্ষেত্রে ভুটান সরকারের নীতি হলো মানুষের শরীর ও মন উভয়ের প্রশান্তি অর্জন। আর এ দুইয়ের সমন্বয়েই স্থায়ী সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিনের সফর শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার সকালে দেশে ফিরে যাবেন। বাংলাদেশে তাঁর এ সফরকে অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ আখ্যায়িত করে সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি দাঁড়িয়ে বলেন, আরো জোরালো বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে তিনি দেশে ফিরছেন। আবারও এ দেশে তিনি আসতে চান।

বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা দেবে ভুটান

Wednesday, January 12, 2011

বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভুটান। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগমে ইউসেফ থিনলের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের ভৌগোলিক সাদৃশ্য ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজ ট্যুরিজমের প্রস্তাব সমর্থন করেন। শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ অংশীদার বা বিদ্যুতের সরাসরি ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, 'এই মুহূর্তে ভুটানের পক্ষে নতুন শরিকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব না হলেও আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তারা সক্ষম হবে।' প্যাকেজ ট্যুরিজম সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ভুটানের পাহাড় ও উপত্যকা এবং বাংলাদেশের কক্সবাজারের সোনালি সৈকতসহ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টিতেও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার কৌশল প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা রক্ষায় ভুটানের সহায়তা প্রত্যাশা করে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান একে অপরের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া বাণিজ্য ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে দুই দেশ নতুন করে গতিশীলতা আনতে পারে। ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কম হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে হবে। আইটি, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ, শিক্ষা ও নির্মাণের মতো সম্ভাবনাময় খাতে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা যেতে পারে।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা-সংক্রান্ত দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি খাতেও এ ধরনের সহযোগিতা সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভারত, মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডের মধ্যে সবার জন্য লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ভুটানকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যাপকভাবে ব্যবহার এবং অন্যান্য সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পারস্পরিক স্বার্থে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ট্রানজিট ও যোগাযোগ সম্পর্কিত সব বিষয় একটি একক কাঠামোর আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে।' বৈঠককালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার রূপকল্প-২০২১-এর লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাটলার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এম এ করিম, পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস ও প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কৃতি বিনিময় চুক্তি সই
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের একটি চুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক গতকাল মঙ্গলবার সই হয়েছে। ভুটানের পররাষ্ট্রসচিব দাশো দাউ পেনজো এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুরাইয়া বেগম সংস্কৃতি বিনিময় চুক্তিতে এবং স্বাস্থ্যসচিব হুমায়ুন কবির স্বাস্থ্য খাতের সমঝোতা স্মারকে সই করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য খাতের সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ভুটানে চাকরি করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লিওনচেন জিগমে ইয়োসার থিনলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. এ এফ এম রুহুল হক, তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ আবদুল আজিজ, মুখ্যসচিব এম এ করিম, পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মাদ মিজারুল কায়েস, প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নয়া দিগন্তের খবর- বিদ্যুৎ নিয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয় : অর্থমন্ত্রী

Wednesday, December 8, 2010

রকারের বর্তমান মেয়াদের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য আনা ছাড়া বেশি কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার সকালে জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ-২০১০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যুৎ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সময় সাপেক্ষ। তবে বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে ভারসাম্য আনা যাবে। এর অতিরিক্ত কিছু করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকাকালীন আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে অনেক কথা বলেছে। তাই সরকার গঠনের সাথে সাথে বিদ্যুৎ উন্নয়নে তিন বছরের একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ২০১১ সালের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক, বিইআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন প্রমুখ উপস্খিত ছিলেন।
 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু