তারা দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়?- দুই পক্ষের কঠোর অবস্থান

Thursday, December 26, 2013

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ঢাকা অভিমুখী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ করতে দেওয়া হবে না বলে সরকার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের লোকজনকে কোথাও জড়ো হতে দেবে না সরকার।
আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে অন্তত এক সপ্তাহ সরকার দেশে কোনো রাজনৈতিক গোলযোগ হতে দিতে চায় না। মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরে পেট্রলবোমায় পুলিশের সদস্য হত্যা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলীয় জোটের ১৮ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পেছনেও ওই একই উদ্দেশ্য।

নাশকতা ও ককটেল-পেট্রলবোমার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সরকারের মুখে সব সময় শোনা যাচ্ছে। এবার
২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ ঠেকাতেও কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর
বাকি রেখেছে কি? যেকোনো নাশকতায় দু-চারজনের নাম দিয়ে শত শত বা হাজার হাজার ‘অজ্ঞাত’ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেকে মারা যাচ্ছেন। আর কত কঠোর হবে সরকার?

অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। তাঁদের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনে বাধা দিলে পরিণতি কঠিন ও করুণ হবে বলেও তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।

প্রশ্ন হলো, বিরোধী দল যেভাবে বাসে পেট্রলবোমা মেরে, ককটেল ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করছে, অবরোধের নামে রেলের ফিশপ্লেট খুলে যাত্রী হত্যা, গাছ কেটে ‘জলবায়ু-অপরাধ’ সাধন, এমনকি বোমা মেরে গরু পুড়িয়ে মারার মতো ঘৃণ্য অপরাধ করে চলেছে, এরপর আর কত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে চায় ওরা? বিরোধী দল কি সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করছে?

আর কত হত্যা, রেললাইন উপড়ে ফেলা, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, বাসে পেট্রলবোমা মারার পর বিরোধী দল বলবে,
যথেষ্ট কঠোর পরিণতি ডেকে আনা হয়েছে?  আর সরকারই বা আর কত জেল-জুলুম-নির্বিচার গুলি চালিয়ে বলবে, তারা যথেষ্ট কঠোর হয়েছে?

স্বাভাবিক বিচার-বিবেচনা থাকলে কোনো দায়িত্বশীল দল রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বা কোনো সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচি দমনের নামে এত নির্মম আচরণ করতে পারে না। রাজনীতি মানুষের জন্যই। তাই রাজনীতির জন্য যেন একজন নাগরিকের প্রাণও বিপন্ন না হয়, তা দেখা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্তব্য। যাঁরা সরকারের আছেন, তাঁদের দায়িত্ব আরও বেশি। কারণ, সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার জন্যই তাঁদের জনগণ নির্বাচিত করেছে।

২৯ ডিসেম্বর ঘিরে দেশে সৃষ্ট অনিশ্চিত পরিস্থিতির অবসান হোক। সরকার ও বিরোধী পক্ষ আরও দায়িত্বশীল আচরণ করুক। মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ।

কাল সারা দেশে হরতাল ডাকল জামায়াত

Sunday, December 8, 2013

দলের নেতা কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জারির কয়েক ঘণ্টার মাথায় হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে কাল সোমবার সারা দেশে হরতাল আহ্বান করেছে দলটি।

আজ রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান বলেন, সরকারের ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে আজ দুপুরে কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বিচারের পুরো প্রক্রিয়ার কঠোর সমালোচনা করে জামায়াত বলেছে, ইতিমধ্যেই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, সরকার আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা’ করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়।

রোববার ঢাকায় ২৪ ঘণ্টা হরতাল

Friday, December 6, 2013

সাদেক হোসেন খোকাসহ দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী রোববার ভোর ছয়টা থেকে সোমবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

আজ শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা মহানগর বিএনপি এই ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে কাল শনিবার ভোর ছয়টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে ১৮-দলীয় জোট। এ অবরোধের মধ্যে হরতাল ডাকা হলো।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার গ্রেপ্তার প্রতিবাদে ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব আবদুস সালামসহ শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা মহানগরে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ছয়টা থেকে সোমবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত হরতাল ডাকা হয়েছে। আজ ঢাকা মহানগর বিএনপির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিকল্প কর্মসূচি বের করুন- আবার অবরোধ কাম্য নয়

আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। প্রধান বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত প্রহসনে পরিণত হয়। এর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
অতীতে বারবার তা দেখা গেছে। তাই বিরোধী দলের আন্দোলনের যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন যেন নাশকতা, পেট্রলবোমা, রেললাইন উপড়ে ফেলে মানুষ মারার আন্দোলনে পরিণত না হয়, সেটাও তাদের দেখতে হবে। দায়িত্বশীল কোনো রাজনৈতিক দল এ দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট আগামীকাল শনিবার থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডাকায় প্রশ্ন ওঠে, বারবার একই ধরনের কর্মসূচি দিয়ে, সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটিয়ে কি কোনো সমাধানে পৌঁছা যাবে? এর পরিণাম যে আরও নাশকতা, তাতে সন্দেহ নেই। জনসমর্থনপুষ্ট একটি রাজনৈতিক দল এ ধরনের সহিংসতা ও নাশকতার পথে নামতে পারে না। কারণ, কিছু সমাজবিরোধী লোক এ ধরনের বিচার-বিবেচনাহীন কর্মসূচির সুবিধা নিয়ে নানা অঘটন ঘটায়। এর পরিণামে দল জনসমর্থন হারায়।
গত আট দিনের অবরোধে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকেই আহত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এরপর আবার শনিবার থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ দেওয়া সমীচীন কি না, তা বিরোধী দলকে ভেবে দেখতে হবে।
বিরোধী দলের বিকল্প কর্মসূচি বের করা দরকার। সমঝোতার জন্য আলোচনার দরজাও খোলা রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার মীমাংসা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই বেশি। পাশাপাশি বিরোধী দলকেও নমনীয় মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে সরকারকেও সহনশীল হতে হবে। শুধু পুলিশি ব্যবস্থায় এ ধরনের সমস্যার সমাধান হয় না।
বিরোধী দলের একই ধরনের সহিংস কর্মসূচির পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়। আর একটি মৃত্যুও নয়। রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো অমানবিক নাশকতার পথ পরিত্যাগ করতে হবে। বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে নিরীহ যাত্রী হত্যা এখনই বন্ধ করতে হবে।
এই বিবেচনায় বিরোধী দল শনিবার থেকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ প্রত্যাহার করে বিকল্প কর্মসূচি গ্রহণ করুক। নিরীহ মানুষ প্রাণে বাঁচুক।

শনিবার থেকে আবার ৭২ ঘণ্টার অবরোধ- মৃত্যুর মিছিলে আরও দুজন

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের দ্বিতীয় দফা অবরোধের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো আরও দুজন।
এদের মধ্যে একজন বাসচালকের সহকারী ও অন্যজন রিকশাচালক। বাসচালকের সহকারী মো. হাসান (১৫) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর জনপথ এলাকায় বাসে দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। অপরজন ফেনীতে গত সোমবার সংঘর্ষে আহত রিকশাচালক মফিজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা গেছেন।

এ নিয়ে গত শনিবার সকাল ছয়টা থেকে গতকাল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার রাজপথ-নৌপথ-রেলপথ অবরোধে প্রাণ হারালেন ৩০ জন। এর আগে ২৬ নভেম্বর থেকে ৭১ ঘণ্টার অবরোধে প্রাণ হারান ২২ জন। সব মিলিয়ে দুই দফায় নয় দিনের অবরোধে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২ জনে।

এদিকে আগামীকাল শনিবার সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বিএনপির মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ অজ্ঞাতস্থান থেকে পাঠানো ভিডিওবার্তায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ শুক্রবার অবরোধ নেই। দ্বিতীয় দফার অবরোধে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ জুমার নামাজের পর সারা দেশে গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

গতকালও অবরোধ চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন, রেললাইনে নাশকতা, ককটেল বিস্ফোরণ ও অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার রাতে প্রথমবারের মতো লঞ্চে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাস্তার পাশে রাখা ইসরাত পরিবহনের একটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। আগুনে ওই বাসে ঘুমিয়ে থাকা বাসচালকের সহকারী হাসান গুরুতর দগ্ধ হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সে মারা যায়।

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজারে সোমবার পুলিশ, ছাত্রলীগের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন রিকশাচালক মফিজুর রহমান (৪০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি দাগনভূঞার দক্ষিণ জয়লস্কর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে।

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে অবরোধকারীরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন দেন। এতে অগ্নিদগ্ধ হন অটোরিকশার চালক খোরশেদ আলম, পুড়ে যায় ঋণের টাকায় কেনা তাঁর অটোরিকশাটি। খোরশেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার রাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা ঘাটে বেঁধে রাখা এমভি নড়িয়া-১, এমভি সুরেশ্বর-১সহ তিনটি লঞ্চে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেন অবরোধকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে এমভি নড়িয়া-১ লঞ্চের কর্মী আনোয়ার হোসেন দগ্ধ হন। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের ফকির জানান, অবরোধকারীদের আগুনে লঞ্চের ডেকে থাকা রশি, কাপড় ও টায়ার পুড়ে যায়।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) জুনিয়র ফিল্ড অফিসার আহসান কবীরের ওপর হামলা ও তাঁর মোটরসাইকেলে আগুন দেন অবরোধকারীরা। আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি ও স্থানীয় আবদুল হান্নান আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরের টিলাগড়ে সিলেট-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাড়ির ভেতর একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। ককটেলটি একটি গাড়ির ওপর পড়ে বিস্ফোরিত হয়।

গতকাল চট্টগ্রামের ৯ নম্বর (পাহাড়তলী) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও আসবাবে আগুন দেন অবরোধকারীরা। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদরে বিএনপির মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া অবরোধকারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অ্যাম্বুলেন্সও জ্বালিয়ে দেন।

গতকাল ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অবরোধকারীরা সাত-আটটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান। আড়াইহাজার উপজেলার ছনপাড়া ও ঝাউগড় এলাকায় যুবদল কর্মীরা বিক্ষোভ ও সড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তাঁরা ছয়-সাতটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান।

বরিশালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। সিরাজগঞ্জে অবরোধ চলাকালে বিচ্ছিন্ন পিকেটিং, ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। চাঁদপুরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়।

টানা অবরোধের কারণে ঢাকার বাইরে অনেক ব্যাংকে টাকা না থাকায় ব্যবসায়ী ও গ্রাহকেরা ভোগান্তির শিকার হন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে অবরোধ চলাকালে আওয়ামী লীগের এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাজবাড়ী ও জয়পুরহাটে রেললাইন তুলে ফেলায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

রাজধানীতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায়সাহেব বাজার মোড় ও জনসন রোডের মাঝামাঝি এলাকায় ২০ থেকে ২৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান অবরোধকারীরা। এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির একটি গাড়ির সামনের কাচ ও হেডলাইট ভেঙে যায় এবং গাড়ির চালক বিপ্লব আহত হন।

সকালে দুই শ্রমজীবী নারী কাগজ কুড়াতে গিয়ে মালিবাগ সুপার মার্কেটের সামনে ২০টি পেট্রলবোমা পান। তাঁরা বিষয়টি রামপুরা থানায় জানালে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে। রামপুরা থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ওই নারীকে পুরস্কৃত করা হবে।

মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) থেকে ভোররাতে ১২টি ককটেল ও ৪০০ গ্রাম গান পাউডার উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

ঢাকায় ককটেল, চট্টগ্রামে গুলি, রাজশাহীতে ধানের ট্রাকে আগুন- ঝিনাইদহে সংঘর্ষে শিবির কর্মী নিহত

Saturday, November 30, 2013

১৮ দলের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগ মুহূর্তে আজ শনিবার ভোরে রাজধানীর দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ইসরাইল হোসেন (২৪) নামের ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগরের এ কে খান রোড ও চাঁদগাঁও এলাকায় অবরোধ-সমর্থকদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া নগরের জিইসি মোড় থেকে ৪০০টি গুলিসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। রাজশাহীতে ধান ও ওষুধবাহী পাঁচটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের পাঠানো খবর:
ঢাকা: গাবতলী বাস টার্মিনালের কাছে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কে বা কারা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় সকাল সাতটায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ সেখান থেকে আবদুল হালিম ভূইয়া ও আনোয়ারুল কবির নামের দুজনকে আটক করে। সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর গ্রিন রোডে অবরোধের সমর্থনে বের করা শিবিরের মিছিল থেকে সাত-আটটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একই সময় রামপুরায় মিছিল করতে গিয়ে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে সাভারের আমিনবাজার-সংলগ্ন সালেহপুর ব্রিজের কাছে অবরোধ-সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকেল চারটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।



চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরের একে খান ও চাঁদগাঁও এলাকায় অবরোধ-সমর্থকদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আনিসুর রহমান ও অঞ্জন নামে পুলিশের  দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। অবরোধকারীদের ছোড়া গুলিতে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন বলে পুলিশের দাবি।



এদিকে পলিব্যাগে করে ৪০০টি গুলি নিয়ে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ নগরের জিইসি মোড় থেকে আনোয়ার হোসেন ও আবুল হোসেন নামের দুজনকে আটক করে।



চট্টগ্রামের ইস্পাহানি এলাকায় রেললাইন অবরোধ করায় ঢাকা ও সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে।



রাজশাহী: অবরোধ শুরুর আগেই নগরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় ধানবোঝাই চারটি ট্রাক ও ওষুধবাহী একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওষুধবাহী গাড়ির চালক আহত হয়েছেন।



ধানবাহী ট্রাকগুলোর চালকেরা চালক জানান, নওগাঁ থেকে ধানবোঝাই করে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ যাচ্ছিলেন তাঁরা। চারটি ট্রাকে এক হাজার ২০ বস্তা ধান ছিল। প্রতিটি বস্তায় দুই মণ করে ধান ছিল।



চালকেরা জানান, রাত একটার দিকে দেওয়ানপাড়া এলাকায় রাস্তার ওপর কাঠের গুঁড়ি ফেলানো দেখে গাড়ি থামালে মাফলারে মুখ বাঁধা একদল মানুষ ইটপাটকেল ছোড়ে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। একজন চালক প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে গিয়ে খবর দিলে তাঁরা গিয়ে আগুন নেভান বলে ওই স্টেশনের কর্মকর্তা এনায়েতুল হক জানান।



ঝিনাইদহ: কোটচাঁদপুর উপজেলায় শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইসরাইল হোসেন (২৪) নামের একজন নিহত হন। উপজেলার হরিণদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসরাইল শিবিরের কর্মী বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদ হোসেন।



ফেনী: দাগনভূঞায় গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে অবরোধ-সমর্থকেরা যাত্রীবাহী একটি বাস থামিয়ে প্রথমে লুটপাট চালায় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় একটি পিকআপে অগ্নিসংযোগ এবং সাতটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।



নোয়াখালী: অবরোধকারীরা শহরের মাইজদী বাজার, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, পৌর বাজার, রশিদ কলোনি, দত্তেরহাট ও সোনাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। পুলিশ গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ২০টি রাবারের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। এ ছাড়া পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটজনকে আটক করে।



জেলার সোনাইমুড়ী এলাকায় নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করায় সংবাদপত্রের গাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌঁছাতে পারেনি।

অবরোধে লন্ডভন্ড ট্রেনের শিডিউল

Friday, November 29, 2013

তিন দিনের অবরোধে ল-ভ- হয়ে গেছে ট্রেনের সিডিউল। প্রতিটি ট্রেন চলছে দেরিতে। এর মধ্যে কোনটা ১৩/১৪ ঘন্টা দেরিতে গন্তব্যে এসে পৌঁছাচ্ছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহের রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে ৩৭ ঘন্টা পর। গতকালও ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নাটোর ও বগুড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। অবরোধের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। একই সাথে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন রেল কর্মী ও যাত্রীরা। আতঙ্কের মধ্যে কাটছে রেল কর্মীদের দিন। চলার পথে কখন কোথায় দুর্ঘটনা ঘটে সে আশংকায় তাদের পরিবার পরিজনদেরও ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নাশকতারোধে রেল কর্তৃপক্ষ যে নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলছে তা মানতে নারাজ রেল কর্মীরা। তাদের মতে, পর্যাপ্ত ট্রালভ্যান না থাকায় সামান্যতম নিরাপত্তাও দিতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ। বিশেষ কিছু স্থানে পাইলট (জরুরী ইঞ্জিন) রাখা হলেও তা কার্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অবরোধের তৃতীয় দিনে নওগাঁর আত্রাইয়ের থাওয়াই পাড়া এলাকায় ও ২৪৮ নম্বর ব্রিজের কাছে বুধবার রাতে ৩২ ইঞ্চি রেলপাত কেটে ফেলায় হয়। এতে সৈয়দপুরের সঙ্গে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার সঙ্গে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সকল প্রকার রেল যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয়  রেল প্রকৌশলী বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, অবরোধকারীরা রাতের অন্ধকারে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার থাওয়াই পাড়া এলাকায় ৩২ ইঞ্চি রেলপাত কেটে ফেলে। রেলকর্মী মাহমুদু হাসান ভোর রাতে রেললাইন কাটা দেখতে পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে রেলকর্তৃপক্ষ সান্তাহার থেকে প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামাদি নিয়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রেললাইনের কাটা অংশ মেরামত করে। এর ফলে রেল যোগাযোগ পুনরায় স্বাভাবিক হয়। এই রেললাইন কাটার ফলে সৈয়দপুরের সঙ্গে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার রেল যোগাযোগ প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বিছিন্ন ছিল। অন্যদিকে, কুমিল্লার অশোকতলা রেল ক্রসিংয়ের ২০০ গজ দক্ষিণে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। কুমিল্লার স্টেশনমাস্টার সফিকুর রহমান জানান, ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুটি বগির কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে বিকল ইঞ্জিনটি উদ্ধার করে মেরামত করা হয়েছে। অপরদিকে, বগুড়ায় অবরোধকারীরা রেললাইন উপড়ে ফেলায় ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে বগুড়ার সাবগ্রামের ছাতিয়ান তলায় ৭২ ফুট রেলের লাইন উপড়ে ফেলেছে অবরোধকারীরা। এতে বগুড়ার সব রুটের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি স্টেশনে আটকা পড়েছে চারটি ট্রেন। এরফলে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার ট্রেনযাত্রী।  রেলওয়ে সূত্রে জানায়, ভার রাতে অবরোধকারীরা বগুড়ার সাবগ্রামের ছাতিয়ান তলায় ৭২ ফুট রেললাইন উপড়ে ফেলায় বগুড়ার সঙ্গে লালমনিরহাট ও সান্তাহারের ট্রেন চলালচ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে লালমনিরহাট এক্সপ্রেস, করতোয়া এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও  কলেজ ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে।
গত তিন দিনে রেলপথ অবরোধের কারণে একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে ট্রেনের সিডিউল। কমলাপুর স্টেশন সূত্র জানায়, গতকাল প্রতিটি ট্রেনই দেরিতে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ৪ ঘন্টা, ওয়ান আপ মেইল ১৩ ঘন্টা, রংপুর এক্সপ্রেস ১১ ঘন্টা, একতা ৫ ঘন্টা দেরিতে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। একইভাবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোও ৪ থেকে ১০ ঘন্টা দেরিতে চলাচল করছে। এতে করে ট্রেনের যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ট্রেন চালক (এলএম) জানান, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করছেন। পরিবার পরিজনও শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ যেভাবে নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলছে বাস্তবে তার কিছুই হচ্ছে না। রেল পুলিশের কোন ট্রলিভ্যান না থাকায় সব ট্রেনই চলছে সীমাহীন ঝুঁকি নিয়ে। ট্রলি থাকলে ট্রেনের আগে তা চালিয়ে নিয়ে রেল লাইন ঠিক আছে কি না তা জানা যেতো বলে একজন চালক জানান। তার মতে, প্রতিটি ট্রেনের আগে একটা ট্রলি বা ছোট আকারের কোন যান রেলের উপর দিয়ে চালিয়ে নিয়ে গেলে অন্তত দুর্ঘটনা থেকে রেহাই মিলতো। ওই চালক বলেন, রেল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বলতে আমাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, “দেখে শুনে সতর্কতার সাথে যান”। আমরা যেভাবে চলি তাতে দেখে শুনে যাওয়ার কোন উপায় নেই। এমতাবস্থায় আমরাও নিরাপত্তাহীন, যাত্রীরাও বটে।
 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু