সুন্দরবন সংলগ্ন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদের তীরবর্তী সংরক্ষিত বন এলাকার মাদারতলী, বকুলতলা এবং পাশের রায়হানপুর, মানিকখালী, বাঁশতলা, বাদুরতলা গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে কাঠকয়লা তৈরির ১০-১২টি কারখানা। এসব কারখানা থেকে নির্গত কার্বন মনো-অক্সাইড আশপাশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু আল ফাত্তাহ বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এবং সংরক্ষিত বন এলাকায় এভাবে কাঠকয়লা পোড়ানো হলে এখান থেকে নির্গত কার্বন মনো-অক্সাইডের প্রভাবে গাছপালার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত এবং বিশেষ করে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতিসহ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব তো আছেই।’জানা গেছে, পাথরঘাটায় ১০-১২টি কাঠকয়লা উৎপাদন কারখানায় ৪০ থেকে ৪৫টি চুলা রয়েছে। একেকটি চুলায় ৫০০ মণ কাঠ টানা চার-পাঁচ দিন জ্বলতে থাকে। এ থেকে প্রায় ৩০০ মণ কয়লা উৎপাদিত হয়। এসব কয়লা ঢাকা, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার হোটেল এবং স্টিল মিলে ব্যবহূত হয় বলে কয়েকজন কারখানা মালিক জানান।
এলাকাবাসী জানায়, এসব কারখানার অদূরে মানিকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মানিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি হাটবাজার, বাসস্ট্যান্ড, চরদুয়ানী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও বন বিভাগের চৌকি।
উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্বান্তের কথা স্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মরিয়ম চৌধুরী বলেন, কয়লা কারখানাগুলো বন্ধের ব্যাপারে সিদ্বান্ত হলেও উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার কাঁঠালতলীর ইউনিয়নের সংরক্ষিত বন এলাকার বকুলতলার একটি কাঠকয়লা তৈরির কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, চুলাগুলোর চারপাশে ও পাশের জঙ্গলের মধ্যে সুন্দরী কাঠের বড় বড় গুঁড়ি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একপাশে স্তূপাকারে রাখা হচ্ছে পোড়ানো কয়লা। বিশাল আকৃতির চুলাগুলো জ্বলছে, বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পাথরঘাটায় এ রকম ১০-১২টি কারখানা আছে। কেউ লাইসেন্স নেয়নি। কোথা থেকে লাইসেন্স নিতে হয় তাও জানি না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, কারখানার চারটি চুলায় দিন-রাত কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা।
কাঁঠালতলী ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের সিদাম মিয়ার বাজারে একটি কারখানা আছে। এ ছাড়া মানিকখালী খালের পাড়ে আরও চার-পাঁচটি কারখানা নির্মিত হচ্ছে। বাজারের কারখানাটির মালিক পনু হাওলাদার। এখানে চারটি চুলায় দিন-রাত কাঠ পোড়ানোয় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। পনু হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের কারখানার কোনো অনুমতি নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছি। সমস্যা হচ্ছে এমন অভিযোগ কেউ করেনি।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বলেশ্বর নদের পশ্চিম পাড়ে সুন্দরবন। নদের পূর্ব পাড়ে এসব কয়লা কারখানা স্থাপন করায় খুব সহজেই সুন্দরবনের কাঠ এনে কয়লা উৎপাদন করা যাচ্ছে। এ ছাড়া কারখানার আশপাশেই হরিণঘাটা, লালদিয়া, জ্ঞানপাড়া, চরদুয়ানী, লাঠিমারাসহ বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকেও সহজে কাঠের সংস্থান হয়।
জানা গেছে, সুন্দরবনের কচিখালী, বগী, সুপতি, শরণখোলা ও চান্দেশ্বর এলাকা থেকে পাথরঘাটার সংঘবদ্ধ একটি চক্র কয়লা তৈরির জন্য সুন্দরীগাছ কেটে আনছে। সম্প্রতি চরদুয়ানী বনকেন্দ্রের কর্মকর্তারা বকুলতলার জাহাঙ্গীরের কয়লা কারখানা থেকে ২৩০ ঘনফুট সুন্দরী কাঠ উদ্ধার করেন।
বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ খান বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েক দিন আগে জাহাঙ্গীরের কারখানার চুলাগুলো ভেঙে দিয়েছিলাম। অচিরেই আমরা অভিযানে নামব।’ তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ ছাড়া কোনোভাবেই এসব কারখানা গড়ে তোলা যায় না। কারখানাগুলো বনের জন্য ক্যানসারের মতো। এখানে বনের ভারী কাঠ, প্রধানত সুন্দরী কাঠ ব্যবহূত হয়। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযান চালানোর জন্য পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।’
এলাকাবাসী জানায়, এসব কারখানার অদূরে মানিকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মানিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি হাটবাজার, বাসস্ট্যান্ড, চরদুয়ানী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও বন বিভাগের চৌকি।
উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্বান্তের কথা স্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মরিয়ম চৌধুরী বলেন, কয়লা কারখানাগুলো বন্ধের ব্যাপারে সিদ্বান্ত হলেও উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার কাঁঠালতলীর ইউনিয়নের সংরক্ষিত বন এলাকার বকুলতলার একটি কাঠকয়লা তৈরির কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, চুলাগুলোর চারপাশে ও পাশের জঙ্গলের মধ্যে সুন্দরী কাঠের বড় বড় গুঁড়ি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। একপাশে স্তূপাকারে রাখা হচ্ছে পোড়ানো কয়লা। বিশাল আকৃতির চুলাগুলো জ্বলছে, বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। কারখানার মালিক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পাথরঘাটায় এ রকম ১০-১২টি কারখানা আছে। কেউ লাইসেন্স নেয়নি। কোথা থেকে লাইসেন্স নিতে হয় তাও জানি না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, কারখানার চারটি চুলায় দিন-রাত কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা।
কাঁঠালতলী ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের সিদাম মিয়ার বাজারে একটি কারখানা আছে। এ ছাড়া মানিকখালী খালের পাড়ে আরও চার-পাঁচটি কারখানা নির্মিত হচ্ছে। বাজারের কারখানাটির মালিক পনু হাওলাদার। এখানে চারটি চুলায় দিন-রাত কাঠ পোড়ানোয় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। পনু হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের কারখানার কোনো অনুমতি নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছি। সমস্যা হচ্ছে এমন অভিযোগ কেউ করেনি।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বলেশ্বর নদের পশ্চিম পাড়ে সুন্দরবন। নদের পূর্ব পাড়ে এসব কয়লা কারখানা স্থাপন করায় খুব সহজেই সুন্দরবনের কাঠ এনে কয়লা উৎপাদন করা যাচ্ছে। এ ছাড়া কারখানার আশপাশেই হরিণঘাটা, লালদিয়া, জ্ঞানপাড়া, চরদুয়ানী, লাঠিমারাসহ বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকেও সহজে কাঠের সংস্থান হয়।
জানা গেছে, সুন্দরবনের কচিখালী, বগী, সুপতি, শরণখোলা ও চান্দেশ্বর এলাকা থেকে পাথরঘাটার সংঘবদ্ধ একটি চক্র কয়লা তৈরির জন্য সুন্দরীগাছ কেটে আনছে। সম্প্রতি চরদুয়ানী বনকেন্দ্রের কর্মকর্তারা বকুলতলার জাহাঙ্গীরের কয়লা কারখানা থেকে ২৩০ ঘনফুট সুন্দরী কাঠ উদ্ধার করেন।
বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ খান বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েক দিন আগে জাহাঙ্গীরের কারখানার চুলাগুলো ভেঙে দিয়েছিলাম। অচিরেই আমরা অভিযানে নামব।’ তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ ছাড়া কোনোভাবেই এসব কারখানা গড়ে তোলা যায় না। কারখানাগুলো বনের জন্য ক্যানসারের মতো। এখানে বনের ভারী কাঠ, প্রধানত সুন্দরী কাঠ ব্যবহূত হয়। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযান চালানোর জন্য পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।’
0 comments:
Post a Comment