কর্নেল তাহেরের গোপন বিচার সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে হাইকোর্ট মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফসুজকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে তাঁকে বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিবকে এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও শেখ. মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অনুরোধ জানান।
এদিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বলেন, ‘ওই সময় লরেন্স লিফসুজ তাহেরের বিচার পর্যবেক্ষণ করেন এবং এ নিয়ে তিনি একটি প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) তৈরি করেছেন। তাঁর বক্তব্য শোনা হলে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে।’ এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত লিফসুজের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ ছাড়া আজ আদালতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হক ও তাহেরের সঙ্গে বিচারের মুখোমুখি হওয়া তত্কালীন করপোরাল মজিদ আদালতে বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, নিয়ম অনুসারে রায়ের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিনি রায়ের কপি তাঁর কার্যালয়ে পাননি। বেসামরিক প্রশাসনকে বিষয়টি না জানিয়েই এ কাজটি করা হয়েছে। এটি আইনের বিচ্যুতি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মজিদ বলেন, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য জিয়াউর রহমান এটা করেছেন। যারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল তাদের খুশি করার জন্য এটা করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল বুধবার এ দুজনকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সামরিক আদালতের গোপন বিচারে লে. কর্নেল তাহেরকে সাজা দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ জুলাই ভোরে তাহেরের ফাঁসি কার্যকর হয়। তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতার প্রশ্নে তাঁর ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, তাহেরের স্ত্রী লুত্ফা তাহের ও সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরেক ভাই প্রয়াত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ গত বছরের আগস্টে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট তাহেরের গোপন বিচারের জন্য ১৯৭৬ সালের ১৬ নম্বর সামরিক ফরমানের আওতায় আদালত গঠন, বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না—জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এখন রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি চলছে।
এ ছাড়া আজ আদালতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হক ও তাহেরের সঙ্গে বিচারের মুখোমুখি হওয়া তত্কালীন করপোরাল মজিদ আদালতে বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, নিয়ম অনুসারে রায়ের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিনি রায়ের কপি তাঁর কার্যালয়ে পাননি। বেসামরিক প্রশাসনকে বিষয়টি না জানিয়েই এ কাজটি করা হয়েছে। এটি আইনের বিচ্যুতি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মজিদ বলেন, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য জিয়াউর রহমান এটা করেছেন। যারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল তাদের খুশি করার জন্য এটা করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল বুধবার এ দুজনকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সামরিক আদালতের গোপন বিচারে লে. কর্নেল তাহেরকে সাজা দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ জুলাই ভোরে তাহেরের ফাঁসি কার্যকর হয়। তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতার প্রশ্নে তাঁর ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, তাহেরের স্ত্রী লুত্ফা তাহের ও সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরেক ভাই প্রয়াত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ গত বছরের আগস্টে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট তাহেরের গোপন বিচারের জন্য ১৯৭৬ সালের ১৬ নম্বর সামরিক ফরমানের আওতায় আদালত গঠন, বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না—জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এখন রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি চলছে।
0 comments:
Post a Comment