বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপ ও রাজনৈতিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ ‘সিনেট’। গত ৭ই জানুয়ারি ১১৩তম কংগ্রেসের প্রথম সেশনে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
গতকাল এর বিস্তারিক রেজুলেশন প্রকাশ করা হয়। দেশটির পাঁচ সিনেটর রিচার্ড ডারবিন, জন বুজম্যান, বারবারা বক্সার, মাইকেল বি এঞ্জি ও সিনেটর ক্রিস্টফার এস মার্ফি গত ১১ই ডিসেম্বর প্রস্তাবটি পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনেট কমিটিতে তোলার এক সপ্তাহ পর সেটি নিয়ে কমিটিতে আলোচনা হয়। মঙ্গলবার ওই প্রস্তাবটি প্রায় অপরিবর্তিতভাবেই গ্রহণ করে। এ প্রস্তাবে বাংলাদেশের ৫ই জানুয়ারি ভোটের আগের পরিস্থিতিই সেখানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধকে দায়ী করে ওই প্রস্তাবে ছয়টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এগুলো হল, ১. বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংঘাতের নিন্দা জ্ঞাপন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদেকে সরাসরি এবং সত্যিকার অর্থেই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংলাপে বসার আহ্বান। ২. লাগাতার রাজনৈতিক অচলাবস্থায় বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ। ৩. অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের উদ্যোগ নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের পথ গ্রহণের আহ্বান। ৪. নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা এবং অবাধ গতিবিধির নিশ্চয়তা দিতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহবান, ৫. বাংলাদেশের রাজনৈতিক মতবিরোধ দূর করতে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ফারনান্দেজ-তারানকো যে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়ে গেছেন, তা এগিয়ে নেয়া। এবং ৬. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে, মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্তা বন্ধে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের ‘স্বাধীনতা’ ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment