শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রিসভার ৫১ সদস্যের মধ্যে ৩৫ জনই বাদ পড়েছেন। ৪৯ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রিসভার আছেন মাত্র ১৮ জন। বাকিরা সবাই নতুন।
আগের সাতজন উপদেষ্টার মধ্যে বাদ পড়েছেন চারজন। এই যোগ-বিয়োগ কী ইঙ্গিত দেয়? এটাই ইঙ্গিত দেয় যে আগের পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁদের নিয়ে সরকার পরিচালনা করেছেন, তাঁদের অধিকাংশ ছিলেন অদক্ষ, অযোগ্য ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। অযোগ্য ও অদক্ষ না হলে তাঁরাও ১৮ জনের কাতারে এসে যেতেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নিয়মরক্ষার নির্বাচনে জয়ী হওয়া সহজ, কিন্তু মন্ত্রিসভায় ঠাঁই নেওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে আগের আমলনামাটি অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন বলেই শুনেছি। যাঁদের সম্পর্কে পাঁচ বছর ধরেই লেখালেখি হয়েছে, যাঁরা নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বাদ পড়েছেন।
নির্বাচনের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো দুর্নীতিবাজের দায়িত্ব তিনি নেবেন না। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে তিনি সবাইকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিপুল সম্পদ আহরণের উৎস খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন সংস্থা (দুদক) মাঠে নেমেছে বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। দুদকের সুমতি হোক।
বাদ পড়া মন্ত্রী-উপদেষ্টারা পাঁচ বছর বেশ দাপটের সঙ্গে ছিলেন, ভেতরের বা বাইরের সমালোচনা একেবারেই পাত্তা দেননি। তাঁদের কপাল পোড়ার কারণ নির্বাচনের আগেই যথারীতি সারা দেশে চাউর হয়ে গিয়েছিল। শোনা যায়, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর বাদ পড়াদের কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ধরনাও দিয়েছেন। কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। নির্বাচনের আগে যখন পত্রিকায় মন্ত্রী-সাংসদদের হলফনামায় ঘোষিত সম্পদের বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছিল, তখনই নাকি তিনি মনস্থির করে ফেলেন কাকে রাখবেন, কাকে বাদ দেবেন। পাঁচ বছরের আমলনামা তো তাঁর হাতে ছিলই।
এখন বাদ পড়া ব্যক্তিদের কেউ কেউ বলছেন, দলে তাঁরা বেশি বেশি সময় দেবেন। আগে কেন দেননি, সেটিও মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। এঁদের অধিকাংশের সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের যোগাযোগ অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁরা কর্মীদের সমর্থনে নেতা হননি, সভানেত্রীর আশীর্বাদে হয়েছেন। এখন সেই আশীর্বাদটুকুও আলগা হয়ে গেছে।
শুধু মন্ত্রী-উপদেষ্টা নন, অনেক সাংসদও গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ দেখে নিজেরাও সম্ভবত লজ্জিত হয়েছেন, যে কারণে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাদের ওয়েবসাইট থেকে হলফনামা প্রত্যাহার করতে বলেছিল। আবদার আর কাকে বলে?
এই জনসেবকদের সৌভাগ্য যে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার মান এখনো সেই উচ্চতায় যায়নি, যেখানে মন্ত্রী-সাংসদদের হলফনামার বাইরে থাকা সম্পদের হিসাব বের করে আনবে। বিদেশে কোন আমলে কত টাকা পাচার হয়েছে, তার বিবরণী জনগণকে জানাবে। মন্ত্রী-সাংসদেরা হলফনামায় যেসব তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন, সেটুকুই সাংবাদিকেরা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে হুবহু তুলে দিয়েছেন। আর তাতেই সবার গা জ্বালা ধরেছে।
জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে তাঁদের কার কী সম্পদ ছিল, পাঁচ-দশ বছর পর কী পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা ওয়েবসাইটে নয়, জনসমক্ষেই প্রকাশ করা উচিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করার ওয়াদা করেও কথা রাখেনি। আর এবারে ওয়াদার ধারে-কাছেও যায়নি। মানুষ সামনে এগোয়, আর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো পেছনে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে চায়। জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের হিসাব পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। মন্ত্রী-সাংসদেরা ধনাঢ্য বাবা-চাচার দোহাই দেন। এসব দেখে নাকি ন্যাপ-প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের একটি কথা মনে পড়ে। তিনি বলেছিলেন, ‘শৈশবে গ্রামের বাড়িতে যাঁরা শানকিতে খেতেন এবং খালের পাড়ে গিয়ে প্রাতঃকর্ম সারতেন, তাঁরাই এখন গুলশান-বনানীর আলিশান ভবনে থেকে নিজেদের নব্য জমিদার ভাবেন।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পুরোনো সহকর্মীদের রক্ষায় একটি খোঁড়া যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, ‘গত পাঁচ বছরে মানুষের আয় বেড়েছে। অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। অতএব, মন্ত্রী-সাংসদদের আয় বাড়াটাও স্বাভাবিক।’ কিন্তু সেটি কত গুণ? বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী পাঁচ বছর আগে দেশের মানুষের বার্ষিক গড় আয় ছিল ৮৪৭ ডলার, আর এখন এক হাজার ৪৪ ডলার। অর্থাৎ পাঁচ বছরে মানুষের আয় দেড় গুণ বেড়েছে। কিন্তু মন্ত্রী-সাংসদদের আয় শতগুণ কিংবা তারও অনেক বেশি হলো কোন অলৌকিক উপায়ে, সেটি তদন্ত করে দেখা দরকার।
৫ জানুয়ারি যে নির্বাচনটি হয়ে গেল, তাকে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বলা যাবে না, এতে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নির্বাচন। তাহলে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনটি হলে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া অনেকেই যে মনোনয়ন থেকেও যে বাদ পড়তেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় তাঁরা ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছেন।
বাংলাদেশ বড় অদ্ভুত জায়গা। এখানে একটি ভালো নির্বাচন, একটি ভালো সংসদ ও সরকার দিতে পারে না। যার প্রমাণ আমরা পেয়েছি ২০০১ ও ২০০৯ সালে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিপুল বিজয় তাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছিল। ফলে মন্ত্রী বাছাইয়ে যোগ্যতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। প্রায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রতিনিধির পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানেরও প্রতিনিধি হিসেবে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ পেয়েছিলেন। ফলে সরকারে দ্বৈত শাসন ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চেয়ে অধিক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠে হাওয়া ভবন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে দ্বৈত শাসন না থাকলেও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বাছাইয়ে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার চেয়ে ব্যক্তিগত আনুগত্যই অগ্রাধিকার পায়। অনেক জ্যেষ্ঠ নেতারই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় না। প্রধানমন্ত্রী যাঁদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা রেখে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই সেই মর্যাদা রক্ষা করতে পারেননি। একটি মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র—দুটোই যদি পাঁচ বছর ধরে বিতর্ক ও প্রশ্নের মুখে থাকে, সেই মন্ত্রিসভাকে কী করে সফল বলা যায়?
সে সময়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা স্যুটেড-বুটেড ও চৌকস না হলেও
সৎ ও যোগ্য! কিন্তু গত পাঁচ বছর পর দেখা গেল, তাঁর অধিকাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী স্যুটেড-বুটেড ও চৌকস হওয়ার পরীক্ষায় পাস করলেও যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখাতে পারেননি। দলের ভেতরে ও বাইরে সেই মন্ত্রিসভার ব্যাপক সমালোচনাকে তখন সরকার আমলে নেয়নি। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে রাখার জন্য যদি জেদ না ধরা হতো, তাহলে হয়তো বিশ্বব্যাংকের অর্থও পাওয়া যেত এবং পদ্মা সেতুর কাজও শুরু হতো।
গত কয়েক দিনে বিভিন্ন পত্রিকায় বাদ পড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আমলনামা ছাপা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ‘পুরোনো মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া ৩৫ জনের মধ্যে অন্তত ২৮ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালনকালে নানা কারণে বিতর্কিত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনসহ অদক্ষতা ও অযোগ্যতার অভিযোগ ছিল।’
নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পাঁচ বছরে তাঁদের অনেকের সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। মন্ত্রীদের চেয়ে তাঁদের স্ত্রীরা আরও বেশি ধনী হয়েছেন। কেউ কেউ প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক, বিমা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়েছেন, স্ত্রীর নামে সম্পদ গড়েছেন।
প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি দায়িত্ব পালনে চরম অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার জন্য তাঁকে দায়ী করা হয়। প্রভাবশালী দেশগুলো তাঁর প্রতি বিরক্ত ছিল। আ ফ ম রুহুল হকের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে পাঁচ বছরে তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৭৮২ শতাংশ। এ সময়ে তাঁর ছেলে জিয়াউল হক বড় ব্যবসায়ী হয়েছেন। খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদের ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল।’
এখানেই শেষ নয়। আরও আছে। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে পদস্থ কর্মকর্তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার অভিযোগ আছে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অযোগ্যতা, অদক্ষতা এবং বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার আরও অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে আছে, তাঁরা হলেন: সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, মৎস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাই।
দলের অন্দরমহলের উদ্ধৃতি দিয়ে ১৩ জানুয়ারি ডেইলি স্টার লিখেছে, ‘কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর অস্বাভাবিক ধন-সম্পদ বেড়ে যাওয়ায় বিরক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের মন্ত্রিসভায় না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।’
তবে হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে, সেটাই সব নয়। অনেকের প্রকাশিত সম্পদের চেয়ে অপ্রকাশিত সম্পদের পরিমাণই বেশি। আর যাঁরা কেবল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাঁদের হিসাবটাই আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু যাঁরা পাঁচ বছর ধরে উপদেষ্টা ছিলেন, যাঁরা দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের সম্পদের হিসাবটাও প্রধানমন্ত্রী একবার পরখ করে দেখতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে আরও একটি কথা বলতে হয়, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সবাই যেমন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েননি, তেমনি বাদ পড়া সবাইও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তিনি নির্বাচন করেননি, আবার মন্ত্রীও হতে চাননি। এনামুল হক মোস্তফা শহীদ অসুস্থ থাকায় নির্বাচন করেননি। দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে একাধিক উপদেষ্টা বাদ পড়েছেন বলে বাজারে কথা চালু আছে, কিন্তু তাঁদের চেয়েও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ যে উপদেষ্টার নামে, তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। অনুরূপ ধারণা আছে পুনর্বহাল হওয়া দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীর সম্পর্কেও। অন্যদিকে, মন্ত্রিসভায় নতুন যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বেশির ভাগ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির হলেও অন্তত তিনজনের বিরুদ্ধে আগের আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাপক দুর্নীতি ও দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে।
তার পরও বলব, ৫১ সদস্যের মন্ত্রিসভার ৩৫ জনকে ঝেড়ে ফেলা কম সাহসের ব্যাপার নয়। প্রধানমন্ত্রীর এই যোগ-বিয়োগের সুফল দেশবাসী পাবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net
0 comments:
Post a Comment