বাংলাদেশ আর কখনো এভাবে প্রায় পুরো বিশ্বকে হতাশ করেছে বলে শুনিনি। ব্যতিক্রম অবশ্য আছে। সেটা নিকটতম প্রতিবেশী, যার সহায়তা ও অঙ্গীকারগুলো সময়মতো পূরণ হলে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের জনসমর্থন হয়তো এতটা কমে যেত না।
ফলে, বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সমর্থন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নির্বাচনে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী সরকারকে বাস্তবে কোনো সাহায্য করবে কি না বলা মুশকিল; বরং ভারতবিরোধিতার রাজনীতির প্রচারণা উসকে দেওয়ায় তা সহায়ক হওয়ার সম্ভাবনাকে নাকচ করা এখন সহজ নয়।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে হতাশা জানানোর পালা শুরু হয় লন্ডন থেকে। তারপর ওয়াশিংটন, টরন্টো, জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর হয়ে ক্যানবেরা ও টোকিও—সব জায়গা থেকে প্রায় অভিন্ন প্রতিক্রিয়া। তাদের হতাশার কারণ অনেক। প্রথমত, অর্ধেকের বেশি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের ভোটদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং অবশিষ্ট এলাকাগুলোয় ভোটারদের অংশগ্রহণ কম হওয়ার বিষয়। দ্বিতীয়ত, বেআইনি সহিংসতায় বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি, নাগরিকদের ভীতি প্রদর্শন এবং স্কুল-কলেজসহ সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। তৃতীয়ত, শান্তিপূর্ণ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হওয়া। কমনওয়েলথ দেশগুলোর জোট কমনওয়েলথের মহাসচিবের বিবৃতিতেও কোনো ব্যতিক্রম ছিল না।
নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগেই ইঙ্গিত মিলতে শুরু করে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই নির্বাচন কীভাবে মূল্যায়ন করতে যাচ্ছে। কমনওয়েলথ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও এই নির্বাচন যে কমনওয়েলথের গৃহীত সনদের নীতিমালা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, সে কথা তারা তখন স্পষ্ট করেনি সম্ভবত কূটনৈতিক শালীনতার কারণে। তবে নির্বাচনোত্তর বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের জন্য ব্যাখ্যা দিয়ে তারা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে কেন তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেনি। সেখানে তারা বলেছে, কমনওয়েলথ সনদের নীতিমালা, বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচনের সঙ্গে পরিস্থিতি সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষকেরা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাননি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমতুল্য কর্মকর্তা ক্যাথরিন অ্যাশটন অবশ্য খোলাসা করেই জানিয়ে দেন যে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হওয়ায় তাঁরা এটি পর্যবেক্ষণের কোনো প্রয়োজন দেখছেন না। গত ২০ ডিসেম্বর তাঁর মুখপাত্র পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানো স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলো ব্যর্থ হওয়ায়’ তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অন্যতম মুখপাত্র জেন সাকি ২২ ডিসেম্বরেই তাঁদের হতাশার কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের চোখে বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ থাকলেও প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় তেমন নির্বাচন সম্ভব হচ্ছে না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় এই নির্বাচনে যুক্তরাজ্য কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে হতাশার পর ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়েও ইঙ্গিতটা এসব বিবৃতিতে স্পষ্ট। কূটনীতির একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে কঠিন কথা মিষ্টি ভাষায় বলতে পারা। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান উন্নয়ন এবং বাণিজ্য-সহযোগী এসব দেশের বিবৃতিতে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে যে তারা চায় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও সংস্কৃতিতে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবর্তন। সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া ও জাপান স্পষ্ট করে আরেকটি নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। আর অন্যরা কিছুটা ঘুরিয়ে বলেছে। যেমন ব্রিটিশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক জবাবদিহির ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করাকে জরুরি অগ্রাধিকার দিয়ে ভয় ও প্রতিশোধের আশঙ্কামুক্ত অংশগ্রহণমূলক ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য একযোগে কাজ করা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সাড়া দিয়ে শিগগিরই অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও অর্থবহ সংলাপের কথা বলেছেন। ‘অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া’ যে আরেকটি নির্বাচন, সে কথা নিশ্চয়ই আমাদের রাজনীতিকদের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে পাশ্চাত্যের এসব দেশ ও আন্তর্জাতিক জোট বা সংস্থার কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও সহিংসতা, বিশেষ করে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হামলাগুলোর নিন্দার ক্ষেত্রে বাইরের দুনিয়ায় কোনো ধরনের মতভিন্নতা নেই। ভারত এ ক্ষেত্রে বেশি উদ্বিগ্ন। তার কারণ, নির্যাতনের শিকার মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিতে বাধ্য হলে ভিটেছাড়া উদ্বাস্তুদের তাদেরই আশ্রয় দিতে হবে। তবে অন্যদের উদ্বেগও কম নয়। কেননা, বাংলাদেশে নির্বাচন হলেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা গত কয়েক দশকে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সেগুলোর কোনোটিরই বিচার হয়নি। মানবাধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন উপলব্ধি ও দায়িত্ববোধের পরিচায়ক কিছু উদ্যোগ বা পদক্ষেপ তাই মোটেও অপ্রত্যাশিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক দায়িত্ব বর্তাবে সরকারের ওপর। শুধু বিরোধী দল বা জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করলেই সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
২০১২ সালের ডিসেম্বরের কথা। লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি কমিটিকক্ষে ব্রিটিশ রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠকেরা বাংলাদেশের প্রধান দুই দলের প্রতিনিধিদের কাছে নির্বাচনোত্তর সংখ্যালঘু নিপীড়নের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে কথিত অত্যন্ত প্রভাবশালী সাবেক আমলা এইচ টি ইমাম সরকারের পক্ষে অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন যে এ ধরনের হামলা প্রতিকারে সব ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হবে। বিরোধী দল বিএনপির এম কে আনোয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁর দল এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপালে তা কতটা ধোপে টিকবে, বলা মুশকিল। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে না পারার বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা কতটা হালে পানি পাবে, বলা দুষ্কর। বিবিসিতে যশোরের পুলিশ সুপারের যে উদ্ধৃতি দেখলাম, তাতে এটা স্পষ্ট যে সরকারের কাছে জেদ-জবরদস্তির ভোটরক্ষা যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, নাগরিকের জীবনরক্ষা বা নিরাপত্তার বিষয়টির অগ্রাধিকার ততটা ছিল না। এ কারণে সব জায়গাতেই পুলিশ, প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা গেছেন হামলা হওয়ার পর। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর বেশি দিন চুপ থাকবে বলে মনে হয় না। হাইকমিশনার নাভি পিল্লাই এ বিষয়ে তো আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
বিরোধী দলকে মতপ্রকাশের সুযোগ না দেওয়া, গ্রেপ্তার এবং রাজনৈতিক হয়রানির প্রসঙ্গেও এসব বিবৃতিতে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। স্পষ্টতই তাঁদের উদ্বেগের প্রধান বিষয় হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি কর্তৃত্ববাদী বা স্বৈরাচারী শাসনের পথে ধাবিত হয় কি না। নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই নতুন করে বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সরকার বহির্বিশ্বে যে বার্তা পাঠাল, তা কতটা বিবেচনাপ্রসূত হলো, তা তারাই ভালো বলতে পারবে। বিরোধী দল দমন এবং শক্তি প্রয়োগে মতপ্রকাশের সুযোগ খর্ব করা অব্যাহত থাকলে অচিরেই মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো যে নতুন ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে, তাতে সন্দেহ নেই। আর সে রকম ক্ষেত্রে উন্নয়ন-সহায়তা ও বাণিজ্য-সুবিধার ওপর যে প্রতিকূল প্রভাব পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে, তা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না।
নির্বাচন-পূর্ব বিবৃতিগুলো এবং নির্বাচনোত্তর প্রতিক্রিয়াগুলোয় পাশ্চাত্যের দেশগুলোর ব্যবহূত ভাষায় যে ধরনের মিল, তা স্পষ্টতই ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখার বিষয়ে তারা অভিন্ন কৌশল অনুসরণ করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের কর্মকৌশলে সেই অভিন্নতা বজায় থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
প্রতিটি বিবৃতিতেই বাংলাদেশে স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য দেশটির জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা রয়েছে। এটাকে অনেকেই নতুন সরকারের প্রতি সমর্থনের অঙ্গীকার বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা শঠতাপূর্ণ। যাঁরা কূটনৈতিক শালীনতা বজায় রেখেও গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন, তাঁরা সেই প্রহসনজাত নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা বজায় রাখবেন—এমনটি কল্পনা করে কেউ আত্মহারা হতে চাইলে অন্যদের আর কী করার আছে?
এবার অন্য একটি দেশের কথা বলি। ২০০৮ সালের ২৯ মার্চ। ব্যাপক সহিংসতার পর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও ভোট গ্রহণের ৩৬ ঘণ্টা পরও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় অস্বীকৃতি জানাল নির্বাচন কমিশন। কারণ হিসাবে তারা বলল, ২১০টি আসনের পার্লামেন্টে ২৩টি আসনের ভোট পুনর্গণনা প্রয়োজন। এই কটি আসনের ফলাফল উল্টে দিতে পারলেই নির্বাচনে শাসক দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা যায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আবেদন-নিবেদন সবই উপেক্ষিত হলো। সরকারের প্রভাবাধীন হাইকোর্টও ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা বন্ধে হস্তক্ষেপের জন্য বিরোধী দলের আবেদন প্রত্যাখান করলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও বিরোধী দল জয়ী হওয়ার দাবি জানাল, কিন্তু কমিশন সেই ফলাফলও স্থগিত রাখল। প্রায় এক মাস পর তারা বিতর্কিত ভোটগুলো পুনর্গণনার উদ্যোগ নিল এবং যথারীতি আশঙ্কা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী ঘোষিত হলো।
পশ্চিমা বিশ্বে রীতিমতো হইচই। এমনকি যে দেশটিতে এসব নির্বাচনী প্রহসন মঞ্চস্থ হলো, সেই দেশটির প্রতিবেশীদেরও অনেকে প্রকাশ্যেই এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের কথা বলল। তবে তাদের এক বৃহৎ প্রতিবেশী তাদের সমর্থনে অনড় থাকল। এ কারণে আঞ্চলিক জোটের দেশটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হলো না। তবে নির্বাচনের প্রায় চার মাস পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির বিরুদ্ধে নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। এরপর আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যস্থতায় আপস-রফার মাধ্যমে দেশটির দুই আপসহীন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি করতে বাধ্য হলো।
যে দেশটির কথা বলছিলাম, সেটির ক্ষমতাসীন দল ও তার নেতার কৃতিত্ব হচ্ছে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করে নিজেদের স্বাধীন করা। আর সেই ক্ষমতাসীন দলটি ছিল ওই দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী দল এবং তার স্বাধীনতাসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। কিন্তু দলটিও যেমন দিনে দিনে গণবিচ্ছিন্ন কোটারির রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছিল, তেমনি সেই নেতাও অপশাসন তথা দুঃশাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
দেশটির নাম জিম্বাবুয়ে। আর দলটির নাম জানু পি এফ এবং স্বাধীন দেশটির জনক হলেন রবার্ট মুগাবে। প্রতিবেশী হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের ভেতরে বিরোধীদের কোণঠাসা করে মুগাবে গত বছর আবারও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু দেশটি এখনো খুঁড়িয়ে চলছে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে মুগাবে এখনো একঘরে।
কামাল আহমেদ: প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন।
0 comments:
Post a Comment