Home » , , , , , » সহজিয়া কড়চা- বঙ্গীয় ইস্টমিনস্টার সরকারপদ্ধতি by সৈয়দ আবুল মকসুদ

সহজিয়া কড়চা- বঙ্গীয় ইস্টমিনস্টার সরকারপদ্ধতি by সৈয়দ আবুল মকসুদ

Written By Unknown on Tuesday, February 4, 2014 | 6:00 AM

নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের পর সরকার গঠিত হলে বিভিন্ন মিডিয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত জানতে চায়। তাদের অনেকের প্রশ্ন ছিল, সংবিধান অনুযায়ী আমরা ওয়েস্টমিনস্টার ব্যবস্থা অনুসরণ করছি।
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের আন্দোলনের সময় থেকে সরকারি নেতারাও বলছেন, তাঁরা ওয়েস্টমিনস্টার ব্যবস্থার সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংসদে বিরোধী দল নেই। আবার স্বঘোষিত বিরোধী দল একটি আছে। তার নেতারা বলছেন, আমরা সরকারেও আছি, বিরোধী দলেও আছি। একই দলের নেতারা মন্ত্রিত্ব উপভোগ করছেন, আবার সংসদে বিরোধী দলের নেতার মর্যাদাও ভোগ করছেন। এ রকম অবস্থা ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না?
বারবার একই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, আমাদের এখনকার সরকারপদ্ধতি ওয়েস্টমিনস্টার সিস্টেম নয়, একে বলা যেতে পারে ইস্টমিনস্টার সিস্টেম। এ রকম সিস্টেম পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশেই আছে। এটার নাম ইস্টমিনস্টার সিস্টেম বলছি এ জন্য যে ব্রিটেন দেশটা ওয়েস্টে। তাই সেখানকার পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রের নাম ওয়েস্টমিনস্টার সিস্টেম। আমরা আছি পূর্বে অর্থাৎ ইস্টে। তাই আমাদের অভিনব ব্যবস্থার নাম হতে পারে ইস্টমিনস্টার সিস্টেম। হয়তো কোনো দিন এশিয়ার আরও কোনো কোনো দেশ বাংলাদেশের এই সরকারব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তখন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে ওয়েস্টমিনস্টার সিস্টেমের মতো ইস্টমিনস্টার সিস্টেমও প্রতিষ্ঠা পাবে।
আমরা আদিম উপজাতি-অধ্যুষিত আফ্রিকার কোনো দেশ নই। প্রাচীন সভ্য জাতি। দীর্ঘ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও পাঁচ-দশ বছরের নয়—শ দুয়েক বছরের। ১৯৩৫-এ ভারত শাসন আইনের অধীনে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হলে বাংলার মানুষ সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বাদ পায়। সুতরাং ওয়েস্টমিনস্টার সিস্টেম কী জিনিস তা এ দেশের মানুষ পৌনে এক শ বছর যাবৎ জানে। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যত দুর্বলতাই থাকুক—সংসদীয় পদ্ধতির সরকার তারা দেখেছে। ভুলভ্রান্তি, দোষ-ত্রুটিসহ ওই পদ্ধতিকেই মানুষ গ্রহণ করে নিয়েছে। গ্রহণ করে নিয়েছে এই জন্য যে ওই পদ্ধতিতে জনগণের কতটা উপকার হলো সেটা বড় কথা নয়, ওই ব্যবস্থায় যথাযথ বিরতি দিয়ে পছন্দমতো সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব। যত অল্প মাত্রায়ই হোক, জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

অনেকে স্বীকার করুন বা না করুন, সাংবিধানিক দিক থেকে যত বৈধভাবেই নির্বাচন ও সরকার গঠিত হোক না কেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ক্ষতচিহ্ন হয়েই থাকবে। তা যে থাকবে তা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারাই সবচেয়ে ভালো জানেন। কারণ, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের প্রধানতম সংসদীয় গণতান্ত্রিক দল। এই দলটি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই গঠিত হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক মুসলিম লিগকে চ্যালেঞ্জ করতেই গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা-নেতা আরবি-উর্দু জানতেন বলে এর নামকরণ করেছিলেন আওয়ামী মুসলিম লিগ। দল গঠিত হওয়ার কয়েক দিন আগে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে যে বিবৃতি লেখা হয়েছিল, সেটি জোগাড় করার সুযোগ আমার হয়েছিল। তার এক জায়গায় এই কথাটি ছিল: The organisation is for all the people—the Awam—as opposed to the pocket or Sarkari League.
মুসলিম লিগ ছিল সরকারের পকেটের দল। কিন্তু এই দল সরকারে যাওয়ার চেয়ে জনগণের কাছে থাকাকেই প্রাধান্য দিয়েছে। এই দলের কাছে সরকারের চেয়ে ‘আওয়াম’ বা জনগণই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আওয়াম’-এর কোনো দাম ছিল না। দলের নেতারা এবং উড়ে এসে জুড়ে বসারা আওয়াম-এর চেয়ে সরকারে যাওয়াকেই বেশি মূল্যবান ও লাভজনক মনে করলেন। দুঃখটা সেখানেই।
দ্বিতীয় দুঃখের কারণ প্রধান বিরোধী জোট অবরোধ, হরতাল, ভাঙচুর, সন্ত্রাস প্রভৃতি করা সত্ত্বেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে আরও কিছুটা অর্থবহ করা যেত। ক্ষমতার লোভে ও ব্যক্তিগত প্রাপ্তিযোগের কারণে সে পথে কাঁটা বিছিয়ে দেয় জাতীয় পার্টি, তাতে একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন হিসেবে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েছে আওয়ামী লীগের। নির্বাচন ও সরকার গঠন নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তার জবাবদিহি আওয়ামী লীগকেই করতে হবে—লাঙ্গল মার্কাকে নয়। বিরোধী জোটের হরতাল-অবরোধকে সাফল্যমণ্ডিত করার পূর্ণ কৃতিত্ব সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। মন্ত্রীদের সংবর্ধনায় এখন হাজার হাজার মোটরসাইকেলে যে কর্মী বাহিনীকে দেখা যাচ্ছে, ৫ জানুয়ারি যদি শুধু তাঁরাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটটা দিতেন তাহলে ভোটের পারসেনটেজটা আর একটু বাড়ত। সেদিন তাঁরা কোথায় ছিলেন তা বিএনপি-ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারও বলতে পারবেন না। প্রসঙ্গত বলা যায়, উদ্দীনীয় শাসনকালে যখন দলের প্রধান শেখ হাসিনাকে বন্দী করা হয় তখনো সংবর্ধনাপন্থীদের ছায়াটিও দেখা গেল না।
২৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা বিতর্কে বলা হয়েছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না ছিল অবাধ, না ছিল সুষ্ঠু। এই নির্বাচন যে সঠিক বা যথাযথ হয়নি সে সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঘোষণা করা উচিত বলে তাঁরা অভিমত দিয়েছেন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এটি ছিল দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের নির্বাচনসংক্রান্ত বিতর্ক। ব্রিটিশ এমপিরা মনে করেন, বাংলাদেশে এখন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব’। লেবার ও কনজারভেটিভ দুই দলের নেতারাই আলোচনায় অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিউ রবার্টসন সমাপনী বক্তব্য দেন। [প্রথম আলো, ৩১ জানুয়ারি]
বাংলাদেশের ব্যাপার নিয়ে ব্রিটেনকে এ ধরনের ফোপর দালালি করার অধিকার দিয়েছে কে? অধিকার তারা আমাদের থেকেই পেয়েছে। চলতি বছরে বাংলাদেশকে ৭৫০ কোটি পাউন্ড উন্নয়ন সহায়তা বাবদ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। তার এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি সরকারের কাছে যাবে। এবং একটি বড় অংশ যাবে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং নিরাপত্তা ও বিচারব্যবস্থার উন্নয়নে।
২০০৯ সাল থেকে ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পে যুক্তরাজ্য অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল—নাগরিক স্বার্থের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সাড়া প্রদান, নির্বাচন কমিশন ও সংসদকে শক্তিশালীকরণ এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অধিকতর জবাবদিহিমূলক করার লক্ষ্যে নাগরিক সমাজকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করা। লেবার পার্টির এমপি গ্যাভিন শুকার বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রমাণ করেছে এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিই অর্জিত হয়নি। তার অর্থ হলো এই, তাঁদের দেওয়া টাকাগুলো পানিতে ফেলে দেওয়া হলো। সেটা তাঁদের উদ্বেগের কারণ।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন না ঘটা এবং আর একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র, ফরাসি ও জার্মান সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং ঢাকায় জাপানি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য উদ্ধৃত করে গ্যাভিন শুকার বলেন, ব্রিটেনকে এ ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত।
বাংলাদেশ যেমন পশ্চিমা দাতা দেশগুলোর গোলাম নয়, তেমনি তাদের মতামত ও পর্যবেক্ষণকে অগ্রাহ্য করাও সমীচীন নয়। নবম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কথিত ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠন থেকে শুরু করে নতুন সংসদের উদ্বোধন পর্যন্ত এমন কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা প্রচলিত রীতি ও সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং মিডিয়াও প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু তা সরকার শোনার প্রয়োজন মনে করেনি।
রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম-রীতি হয়তো আমরা এখনো রপ্ত করে উঠতে পারিনি। তার কারণ, সবে ৪৩ বছর আগে আমরা স্বাধীন হয়েছি, আরও ৫৭ বছর লাগবে। কোনো মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরে তিনি যে আর মন্ত্রী থাকেন না, সে কথা আমরা জানি না। রাষ্ট্রপতি যে নবম সংসদ বিলুপ্ত করেছেন, সে রকম কোনো বিজ্ঞপ্তি আমাদের চোখে পড়েনি। তার অর্থ নবম সংসদ যথাপূর্ব রয়ে গেল। দশম সংসদের নির্বাচিতরা শপথ নিলেন। অবস্থাটা তখন দাঁড়াল নবম সংসদের ৩৪৯ জন এবং দশমের ২৯০ জন মিলে ৬৩৯ বা ওই রকম সংখ্যক এমপি আমরা পেয়েছিলাম কয়েক দিনের জন্য। নবম সংসদের মেয়াদ ছিল ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। কথিত ‘নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা’ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। সে অবস্থায় ১২ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ না নিলেও কিছুমাত্র ক্ষতি ছিল না। মন্ত্রিসভায় এমন ব্যক্তিকে আসন না দিলে কী ক্ষতি হতো, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মোশতাকদের সরকারকে সমর্থন দিয়েছিলেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁকে ওভাবে অপমান ও পীড়ন করারও প্রয়োজন ছিল না। জাতীয় পার্টি নিয়ে যেসব নাটক হয়েছে, পৃথিবীতে এমন ঘটনা দ্বিতীয়টি ঘটেনি। দল তো ভাঙলই, তাঁর ঘরও ভাঙতে ভাঙতে ভাঙেনি, সেটাই তাঁর ভাগ্যের জোর।
কোনো দেশের সাংবিধানিক শাসন যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তা শুধু বিশেষ সরকারের জন্য গ্লানির নয়, দেশের জন্যই অপমানকর। গণতন্ত্রের বিশ্বে স্বীকৃত যে সংজ্ঞা রয়েছে তার বাইরে আর একটি নতুন সংজ্ঞা আমরা খাড়া করতে পারব না। যদি সেই সংজ্ঞাটি বর্তমানের প্রচলিত সংজ্ঞার চেয়ে ভালো হয় তবুও নয়। রাজনীতিতে প্রতিহিংসা শেষ পর্যন্ত কোনো উপকারে আসে না।
যেখানে জাতি, রাষ্ট্র ও সরকারের মর্যাদা জড়িত, সেখানে পরিস্থিতির কারণে কোনো অস্বাভাবিক অবস্থা মেনে নেওয়া গেলেও তার ভুলভ্রান্তি বা দোষ স্বীকার করা উচিত। আমার ধারণা ছিল, নির্বাচনের পরে বিশেষ করে নতুন সরকার গঠনের পর সরকার তার অবস্থান সংহত করতে রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটা বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা করবে। নিজেদের কিছু ভুল স্বীকার করবে। তাতে জনগণ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে। দোষগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। কিন্তু কয়েকজন সরকারি দলের নেতার কথাবার্তায় সীমাহীন দম্ভ ও ঔদ্ধত্য প্রকাশ পাওয়ায় মানুষ এখন আতঙ্কিত। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ শঙ্কিত।
গত নির্বাচনকে যাঁরা স্বাভাবিক বলে বর্ণনা করছেন, তাঁরা অতি অদূরদর্শিতার পরিচয় দিচ্ছেন। এরপর কোনো দিন যদি কোনো নির্বাচনে ২৮৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়ে এমপি হন কোনো সরকারের সময় এবং অবশিষ্ট ১৭ আসনে ভোট পড়ে ২-৩ শতাংশ, তাহলে সেই নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য বলার নৈতিক অধিকার থাকবে না আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও তরীকত নেতাদের এবং তাঁদের আশীর্বাদধন্য মানবাধিকারকর্মীদের।
বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবনতির জন্য শুধু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি বা তরীকতকেও দায়ী করা যাবে না। এর দায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের। তাদের নেতারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের এ দশা হবেই। তাঁদের ভূমিকা বক্তৃতানির্ভর—কর্মসূচিও কর্মনির্ভর নয়।
সবচেয়ে পুরোনো দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এটি মোটামুটি অসাম্প্রদায়িক মধ্যপন্থী দল। বিএনপি একটি প্রায়-প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন। গত ৫ জানুয়ারি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন বিনষ্ট হয়ে যাওয়া সংসদীয় গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য যে দল ভূমিকা রাখবে, ইতিহাসে তারই ঠাঁই হবে। তা না হলে ওয়েস্টমিনস্টার নয়, ইস্টমিনস্টার পদ্ধতিই হবে বাংলার হতভাগ্য মানুষের নিয়তি।

সৈয়দ আবুল মকসুুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু