ককপিট জবাব দিচ্ছে না, আমরা ছিনতাই হতে যাচ্ছি

Friday, September 9, 2011

যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার আগে ছিনতাই হওয়া বিমানে কী ঘটেছিল? জানার কৌতূহল এখনো রয়েছে অনেকের। আগে কখনই প্রকাশিত হয়নি ছিনতাই বিমানের এমন কিছু নতুন অডিও বার্তা সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কথোপকথনে এগুলো ধরা পড়ে বলে দ্য সান উল্লেখ করে।
ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৯৩ থেকে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট বেটি ওং উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলছেন, ‘ককপিট জবাব দিচ্ছে না। বিজনেস ক্লাসে কাউকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা ছিনতাই হতে যাচ্ছি।’ তাঁর এ কথাগুলো তাত্ক্ষণিকভাবে নর্থ ক্যারোলাইনার কেরিতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের অফিসে পাঠানো হয়েছিল।
নতুন বার্তায় আল-কায়েদা জঙ্গি মোহাম্মদ আতার কণ্ঠস্বরও শোনা যায়। নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে বিমান নিয়ে তিনি হামলা চালান। মোহাম্মদ আতা বলেন, ‘আমাদের দখলে কিছু বিমান আছে। আপনার শান্ত থাকুন এবং আমরা সবাই ভালো থাকব। আমরা বিমানবন্দরে ফিরে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ নড়াচড়া করবেন না। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিছু করার চেষ্টা করলে নিজেকে এবং বিমানকে ধ্বংস করবেন। তাই শান্ত থাকুন।’
ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ফ্লাইট ৯৩-এর পাইলট জিয়াদ জারাহ পেনসিলভেনিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বলেছিলেন, ‘অনুগ্রহ করে বসে পড়ুন ও বসে থাকুন। বিমানের মধ্যে বোমা আছে।’
এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারীরা ছিনতাই হওয়ার আগে এসব কথা শুনেছিলেন। টুইন টাওয়ারে প্রথম বিমানটি আঘাতের পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় টাওয়ারে আরেকটি বিমানের আঘাতে বিষয়টিও তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন।
নিউইয়র্কের রাডার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে কেউ বলছেন, ‘আরেকটি বিমান ভবনটিতে আঘাত করছে।’ এর উত্তরে আরেকজন বলছেন, ‘ওই মাই গড।’

যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। ৯/১১-এর ঘটনার ১০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা সম্পর্কে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য তথ্য আছে। হামলা পরিকল্পনায় জড়িত অন্তত তিন ব্যক্তিকে খুঁজছে মার্কিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে এ হামলা পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত অন্তত একজনের মার্কিন নাগরিকত্ব আছে। হামলার আশঙ্কা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ওবামাকে অবহিত করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামা নির্দেশ দিয়েছেন।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ম্যাট চেন্ডলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, জঙ্গি হামলার আগাম তথ্যটি গ্রহণযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট; তবে নিশ্চিত নয়। তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনসহ সর্বত্র নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিউইয়র্ক নগরের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ ও পুলিশ কমিশনার গতকাল রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাঁরা জনগণকে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ভীত না হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামী রোববার ৯/১১ হামলার দশম বর্ষপূর্তি। নানা আয়োজনে দিনটিকে স্মরণ করবে মার্কিনিরা।

আল-কায়েদাকে দৌড়ের ওপর রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র

Thursday, January 27, 2011

ঙ্গিবাদবিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে আরব উপসাগর পর্যন্ত আল-কায়েদাকে দৌড়ের ওপর রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৯/১১-এর হামলার ঘটনার পর থেকে প্রায় এক দশকের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে রয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে ওবামা এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দলীয় মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ওবামার ভাষণে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টিই মূলত গুরুত্ব পায়। এ ছাড়া তিনি আল-কায়েদা ও জঙ্গিবাদের হুমকি, ইরাক ও আফগান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন। আল-কায়েদা তাঁর দেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ৯/১১-এর হামলার পর বর্তমানে পাকিস্তানের আল-কায়েদা নেতৃত্ব সবচেয়ে চাপের মুখে রয়েছে। প্রতিবেশী আফগানিস্তানে যুদ্ধরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী পাকিস্তানে আল-কায়েদার আস্তানা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
ওবামা বলেন, ‘আল-কায়েদার নেতা ও কর্মীদের তাদের আস্তানা থেকে উৎখাত করা হচ্ছে। তাদের আশ্রয় ধীরে ধীরে কমে আসছে।’ তিনি বলেন, ‘আফগান সীমান্ত থেকে আরব উপসাগর হয়ে বিশ্বের জন্য আমাদের বার্তা হচ্ছে, আমরা দমে যাব না, কোনো ছাড়ও দেব না। জঙ্গিদের পরাজিত করবই।’
দ্বিধাবিভক্ত মার্কিন কংগ্রেসে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য অন্যান্য দলের প্রতি আহ্বান জানান ওবামা। বাজেট ঘাটতি এবং বাণিজ্যে ভারত ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দিলেন ওবামা। রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা নতুন করে ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানান। প্রথা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বছরের শুরুতে কংগ্রেসের যৌথ সভায় বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনায় আগামী এক বছরের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওবামার এবারের ভাষণে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জরুরি সব তৎপরতার কথা উচ্চারিত হয়েছে। দেশে ব্যাপক কর্মহীনতা লাঘবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা প্রেসিডেন্ট উচ্চারণ করেছেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই। শিক্ষা, গবেষণা, প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জাতীয় বাজেট ঘাটতি মোকাবিলার জন্য সরকারি ঐচ্ছিক ব্যয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে এখনো পৃথিবীর সেরা সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘আমাদের জনশক্তি সবচেয়ে উৎপাদনশীল। পৃথিবীর সেরা সাফল্যের সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে। সেরা সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রে। সারা বিশ্ব থেকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী প্রতিবছর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসে থাকে।’ সময়ের পরিবর্তনকে ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্রের এ শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার জন্য তিনি দেশবাসীর ঐক্য কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁরা স্বাস্থ্য সংস্কার আইনের যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। উল্লেখ্য, রিপাবলিকানরা ইতিমধ্যে ওবামার সর্বজনীন স্বাস্থ্যনীতি বাতিলের আইন প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। তবে জনগণের জন্য মঙ্গলজনক যেকোনো প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের ভেঙে পড়া অভিবাসন আইনের সংস্কার নিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর বক্তব্যে কোনো সরাসরি ঘোষণা দেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী এবং অভিবাসন আইনের সংস্কারের জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিদেশে আশ্রয় চাইতে পারেন লিনা সেন

Monday, January 24, 2011

মাওবাদীদের সহযোগিতা করার অভিযোগে কারারুদ্ধ ভারতের মানবাধিকার কর্মী বিনায়ক সেনের স্ত্রী লিনা সেন বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। স্বামীর সাজা হওয়ার পর তিনি ও পরিবারের সদস্যরা ভারতে নিরাপদ বোধ করছেন না বলে সোমবার তিনি জানান।

তিনি বলেন, এখন আমার একটাই পথ খোলা আছে। সেটা হলো উদার, গণতান্ত্রিক দেশগুলোর দূতাবাসে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া। পুলিশ আমাদের ওপর সারাক্ষণ নজরদারি করছে। অনেক অজ্ঞাতনামা মেইল আসছে আমাদের কাছে এবং টেলিফোনে আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে।

২৪ ডিসেম্বর মাওবাদীদের সঙ্গে সংশিস্নষ্টতার দায়ে বিনায়ক সেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ভারতের ছত্তিশগড়ের একটি আদালত। তাকে আটক করা হয় ২০০৭ সালের মে মাসে। বানোয়াট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সেনকে সাজা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। বিনায়ক সেনের বিচারে আন্তর্জাতিক মানদন্ড লংঘিত হয়েছে বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

মার্কিন লেখক নোয়াম চমস্কি, ভারতের ইতিহাসের অধ্যাপক রোমিলা থাপারসহ অনেক বিখ্যাত ভারতীয় শিক্ষাবিদ একটি বিবৃতিতে বিনায়ক সেনের সাজা হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ বিনায়ক সেন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য একটি সাপ্তাহিক ক্লিনিক ও কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

তবু পোসাদা সন্ত্রাসী না!

Saturday, January 22, 2011

ত শতাব্দীর অন্যতম ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী লুইস পোসাদা ক্যারিলেসের বিচার শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত বৃহস্পতিবার টেঙ্াসের একটি আদালতে তাঁর শুনানি শুরু হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিভিন্ন মহল। তারা বলছে, এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' স্লোগান দিলেও এক্ষেত্রে দ্বৈত নীতি অনুসরণ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাই নিজেদের পক্ষে কাজ করা সন্ত্রাসী পোসাদাকে শাস্তি দিতে চায় না দেশটি।
কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের 'সেরা অস্ত্র' হিসেবে বিবেচনা করা হত সিআইএয়ের সাবেক এজেন্ট পোসাদাকে। শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকারও করেছেন তিনি।
ভেনিজুয়েলার নাগরিক হলেও পোসাদার জন্ম কিউবায়। দেশটিতে ১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর কিউবার অন্য অনেক প্রবাসীর মতো তাঁকেও নিজেদের দলে অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। কাস্ত্রো সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ১৯৬১ সালের 'বে অব পিগস' হামলায়ও অংশ নেন পোসাদা। এ হামলা ব্যর্থ হলেও পরবর্তী সময়ে পোসাদা কিউবাকে অস্থিতিশীল করার জন্য বেশ কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করেন। তাঁর পরিকল্পনায় সবচেয়ে বড় হামলা হয় ১৯৭৬ সালের ৬ অক্টোবর। পোসাদার নির্দেশে পেতে রাখা বোমায় ওইদিন কিউবার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭২ জন মারা যায়। এ ঘটনায় ভেনিজুয়েলায় তাঁর কারাদণ্ড হয়। কিন্তু পাদ্রী সেজে জেল থেকে পালিয়ে যান তিনি। ১৯৯৭ সালে কিউবার বেশ কয়েকটি হোটেল ও নৈশক্লাবে হামলা হয় পোসাদার নির্দেশে। এসব হামলায় একজন ইতালীয় পর্যটকসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়। ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে পোসাদা বলেন, 'কিউবার পর্যটন ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই এ হামলা চালিয়েছিলাম। যাতে পর্যটকরা ভয়ে আর সেখানে না যায়।' সর্বশেষ ২০০০ সালে পানামা সফরের সময় কাস্ত্রোকে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয় পোসাদাকে। চার বছর সাজা ভোগের পর পানামার প্রেসিডেন্ট তাঁকে ক্ষমা করে দেন।
সিআইএয়ের অবমুক্ত করা বিভিন্ন দলিলেও এসব হামলার সঙ্গে ৮২ বছর বয়সী পোসাদার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। কিউবা ছাড়া মধ্য ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশেও নানা অপকর্মের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
তাঁর বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে সবই অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিথ্যা বলা নিয়ে। ২০০৫ সালে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের দায়ে মিয়ামিতে গ্রেপ্তার হন পোসাদা। ভেনিজুয়েলা তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানালেও তা নাকচ করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। আদালত জানান, ভেনিজুয়েলায় ফেরত পাঠালে পোসাদাকে নির্যাতন করা হতে পারে। তখন ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পোসাদাকে 'আমেরিকার লাদেন' হিসেবে অভিহিত করেন। অনেকে তাঁকে 'এ যুগের ফ্রাংকেনস্টেইন'ও বলে থাকেন।
পোসাদার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ না আনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তঁাঁর পরিকল্পিত হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা। বিমান হামলায় নিহত একজনের মেয়ে মার্গারিটা মোরালেস বলেন, 'ন্যায়বিচারের আশায় ৩৪ বছর কাটল। মনে হচ্ছে, বাবা হত্যার বিচার আর পাব না।' যুক্তরাষ্ট্রে ভেনিজুয়েলার পক্ষের আইনজীবী পারতিয়েরা বলেন, 'সন্ত্রাসীর মধ্যে আপনি ভালোমন্দ বাছাই করতে পারেন না। কারো বিচার করবেন, আবার কাউকে রক্ষা করবেন_এটা উচিত নয়।' সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা।
 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু