বাংলা ভাষা ও বাংলা ভাষার সৃষ্টিসম্ভারকে ইন্টারনেটে বিশ্বের সব ভাষার মানুষের কাছে পাঠযোগ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ সফল হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ তাদের নিজ নিজ ভাষায় বাংলা ভাষার সৃষ্টিসম্ভার যেমন পাঠ করতে পারবে, তেমনি অন্যান্য ভাষার সৃষ্টিসম্ভারও বাংলা ভাষায়ই পাঠ করা সম্ভব হবে।
বাংলাকে ‘ইউনিভার্সেল নেটওয়ার্কিং ল্যাঙ্গুয়েজ’ (ইউএনএল)-এ পরিণত করার কাজ শুরু করেছে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ। কাজটি সম্পন্ন করতে আরো এক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে ইউএনএলে পরিণত করার উদ্যোগ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ কাজ সফল হলে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলা ভাষা অবারিত হবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, বাংলা ভাষা শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হলেও এবং বাংলা ভাষা জনসংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের চতুর্থ ভাষা হলেও এতদিন আমরা অন্য ভাষার মানুষের কাছে এ ভাষাকে বোধগম্য করে তুলতে পারিনি।’
‘ইউনিভার্সেল নেটওয়ার্কিং ল্যাঙ্গুয়েজ’ (ইউএনএল) একটি ইন্টারনেট প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে একটি ভাষার টেক্সট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য ভাষায় বদলে যায়। ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চায়না, আরবি, হিন্দিসহ বিশ্বের প্রায় দেড়শ ভাষা এরই মধ্যে এই প্রোগ্রামের আওতায় এসে গেছে।
এই প্রোগ্রামের আওতায় আসা ভাষাগুলোর কোনো কিছু যে কেউ তার মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিনা মূল্যে এ সেবা পাওয়া যায়। বর্তমানে গুগল বাণিজ্যিকভাবে কয়েকটি ভাষার ক্ষেত্রে এ সুবিধা দিচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে এই প্রোগ্রাম উদ্ভাবন করে টোকিওর ইউনাইটেড নেশন ইউনিভার্সিটি। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এই প্রোগ্রাম প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০১ সালে জেনেভায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইউনিভার্সেল নেটওয়ার্কিং ল্যাঙ্গুয়েজ ফাউন্ডেশন। এরাই এখন এ বিষয়ক নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এরা একটি দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষাকে ইউএনএল-এ পরিণত করার বিষয়ে অনুমোদন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি এরই মধ্যে ইউএনএল-এ পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে ইউএনএল-এ পরিণত করার অনুমোদন পেয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে কলকাতার একদল বাংলাভাষী আইটি বিশেষজ্ঞ এশিয়াটিক সোসাইটিকে সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এ প্রকল্পে অর্থ সহযোগিতা দিচ্ছে।
এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম জানান, একটি ভাষাকে ইউএনএল-এ পরিণত করতে হলে সে ভাষার মরফোলজিকেল গ্রামার ও মরফোলজিকেল ডিকশনারি তৈরি করতে হয়। প্রায় ছয় মাস ধরে এ কাজটি চলছে। কাজটি সম্পন্ন করতে আরো বছরখানেক সময় লাগবে। তিনি জানান, এ কাজের জন্য সরকারের কাছে তিন কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে দেড় কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
‘ইউনিভার্সেল নেটওয়ার্কিং ল্যাঙ্গুয়েজ’ (ইউএনএল) একটি ইন্টারনেট প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে একটি ভাষার টেক্সট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য ভাষায় বদলে যায়। ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, চায়না, আরবি, হিন্দিসহ বিশ্বের প্রায় দেড়শ ভাষা এরই মধ্যে এই প্রোগ্রামের আওতায় এসে গেছে।
এই প্রোগ্রামের আওতায় আসা ভাষাগুলোর কোনো কিছু যে কেউ তার মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিনা মূল্যে এ সেবা পাওয়া যায়। বর্তমানে গুগল বাণিজ্যিকভাবে কয়েকটি ভাষার ক্ষেত্রে এ সুবিধা দিচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে এই প্রোগ্রাম উদ্ভাবন করে টোকিওর ইউনাইটেড নেশন ইউনিভার্সিটি। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এই প্রোগ্রাম প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০১ সালে জেনেভায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইউনিভার্সেল নেটওয়ার্কিং ল্যাঙ্গুয়েজ ফাউন্ডেশন। এরাই এখন এ বিষয়ক নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এরা একটি দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষাকে ইউএনএল-এ পরিণত করার বিষয়ে অনুমোদন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি এরই মধ্যে ইউএনএল-এ পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে বাংলাকে ইউএনএল-এ পরিণত করার অনুমোদন পেয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে কলকাতার একদল বাংলাভাষী আইটি বিশেষজ্ঞ এশিয়াটিক সোসাইটিকে সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এ প্রকল্পে অর্থ সহযোগিতা দিচ্ছে।
এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম জানান, একটি ভাষাকে ইউএনএল-এ পরিণত করতে হলে সে ভাষার মরফোলজিকেল গ্রামার ও মরফোলজিকেল ডিকশনারি তৈরি করতে হয়। প্রায় ছয় মাস ধরে এ কাজটি চলছে। কাজটি সম্পন্ন করতে আরো বছরখানেক সময় লাগবে। তিনি জানান, এ কাজের জন্য সরকারের কাছে তিন কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে দেড় কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
0 comments:
Post a Comment