Home » » ব্রেইনের জন্য ১০টি খারাপ অভ্যাস

ব্রেইনের জন্য ১০টি খারাপ অভ্যাস

Written By Unknown on Saturday, June 4, 2011 | 8:05 PM

প্রতিনিয়ত অভ্যাসবশত আমরা কিছু কাজ করে থাকি যা আমাদের ব্রেইনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই ব্রেইনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য জেনে নেয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো।
১. সকালে নাশতা না করা : আমরা অনেকেই ব্যস্ততার কারণে সকালের নাশতা না করেই বাসা থেকে বের হয়ে যাই। কিন্তু এই অভ্যাসটা খুব খারাপ। কারণ সকালে নাশতা না করলে নিম্ন রক্ত শর্করার কারণে আমাদের ব্রেইনে পর্যাপ্ত শর্করা তথা পুষ্টি পায় না। এতে করে ধীরে ধীরে ব্রেইন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ব্যস্ততা সত্ত্বেও সকালের নাশতা করতে ভুলে যাবেন না।

২. অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণ : অনেক সময় আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণ করি। ধারণা করা হয়, মাঝে মাঝে এরকম অতিরিক্ত ডায়েটে কী আর হবে! কিন্তু ধারণাটা ভুল। কারণ অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণের অভ্যাস আমাদের ব্রেইনের রক্তনালীর ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়, ফলে অনেক ধরনের মানসিক সমস্যার উৎপত্তি হয়। তাই সর্বদা সচেতন হোন এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডায়েট গ্রহণে বিরত থাকুন।
৩. ধূমপান : ধূমপান নানা রোগের অন্যতম কারণ। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব বলে শেষ করে যাবে না। তাই যারা ধূমপান করেন তাদের জন্য সতর্কবার্তা ধূমপানে কেবল ফুসফুস ক্যান্সার নয় বরং এতে করে ব্রেইন সঙ্কুচিত হয়ে যায় ফলে আলঝেইমার নামক স্মৃতিবিলোপকারী রোগের উদ্ভব হয়।
৪. অতিরিক্ত মিষ্টি গ্রহণ : অনেকের ধারণা মিষ্টি বেশি খেলে ব্রেইন ভালো হয়। কিন্তু আসলে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে সেটা আমিষ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধা সৃষ্টি করে যা ব্রেইনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং ব্রেইনের বিকাশ সাধনের অন্তরায়।
৫. বায়ু দূষণ : বায়ু দূষণের জন্য আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। কারণ বায়ু দূষণের ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস আমাদের  ব্রেইনে যেতে পারে না। ফলে ব্রেইন ধীরে ধীরে পুষ্টির অভাবজনিত কারণে স্বাভাবিক কার্যকরী ক্ষমতা হারাতে থাকে। তাই বায়ু দূষণযুক্ত পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন এবং বায়ু দূষণ রোধে নিজে ও অন্যকে সচেতন করুন।
৬. নিদ্রাহীনতা : ঘুম আমাদের ব্রেইনের বিশ্রামের জন্য জরুরি। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ব্রেইন কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যারা দীর্ঘদিন যাবত নিদ্রাহীনতায় ভুগছেন কিংবা কাজের ব্যস্ততার জন্য ঘুমানোর সময় পাচ্ছেন না তাদের জন্য বলছি, নিদ্রাহীনতা আমাদের ব্রেইনের কোষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সুতরাং পর্যাপ্ত ঘুমকে কেবল সময় নষ্ট হিসেবে নয় বরং ব্রেইনের বিশ্রামের জন্য দরকারি হিসেবে নিন।
৭. ঘুমানোর সময় মাথা আবৃত করা : ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাথা খোলা রেখে ঘুমানো ব্রেইনের জন্য উপকারী। কারণ মাথা আবৃত করে ঘুমালে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ঘনীভূত হয় এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। এতে ব্রেইনের ক্ষতিসাধন হয়।
৮. অসুস্থতার সময় অতিরিক্ত কাজ : যখন আমরা অসুস্থ হই তখন আমাদের উচিত কোনো পরিশ্রমী কাজ অথবা পড়াশোনা থেকে বিরত থেকে আমাদের ব্রেইনকে বিশ্রাম দেয়া। তা না হলে অসুস্থতার সময় অতিরিক্ত চাপ আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে ব্রেইনের দীর্ঘমেয়াদি মারাত্মক ক্ষতিসাধন হয়।
৯. চিন্তা না করা : বেশি বেশি চিন্তা করুন, ব্রেইন কোষের উদ্দীপনার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা অত্যন্ত জরুরি। যত বেশি সৃষ্টিশীল চিন্তায় মনোযোগ দিতে পারবেন, তত বেশি আপনার ব্রেইন কোষ উদ্দীপিত হবে। আপনি আরও বেশি দক্ষ ও মনোযোগী হতে পারবেন যে কোনো কাজে। আর চিন্তাহীন ব্রেইন ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়ে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
১০. কথা না বলা : অনেকেই চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু অতিরিক্ত চুপচাপ ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আপনি যত বেশি বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন সেটা আপনার ব্রেইনের স্বাভাবিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই চুপচাপ নয় বরং কার্যক্ষেত্রে বেশি বেশি আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্রেইনকে সতেজ রাখুন।

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু