রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গত বছর নানা সময়ে চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ।
কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন এখনো স্বাভাবিক হতে পারছে না। স্কুলটি এখন পুলিশ ক্যাম্প, ফলে ক্লাস ও পাঠদান সবই বন্ধ!
গত বছর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন বছরের শুরুতে নতুন উদ্যমে পাঠদান শুরুর বিষয়টিই ছিল প্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীরা নতুন বইও পেয়েছে, কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এই স্কুলটি শিক্ষার্থীদের জীবনে গত বছরের ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন ক্ষতি। স্কুলটিকে পুলিশ ক্যাম্প বানানোর পেছনে বাস্তব কারণ রয়েছে। ভোটের দিন বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়া স্কুলটি। আর ভোটের পর সেই একই গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয় কাছাকাছি এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকান ও বাড়িঘর। এ নিয়ে সংঘাত-সহিংসতায় একজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয় স্কুলটিতে। শিক্ষা না নিরাপত্তা—এ বিবেচনায় সম্ভবত নিরাপত্তার বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনও তো এভাবে দিনের পর দিন নষ্ট করার সুযোগ নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষার দিকটিকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এখন প্রতিযোগিতামূলক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ক্লাস বন্ধ থাকায় এই বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে। স্কুলটি খোলা রেখে কীভাবে সে অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা যায় বা বিকল্প হিসেবে কোথায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের মনোযোগ প্রত্যাশা করছি। আর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ভার শুধু প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ছেড়ে না দিয়ে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
গত বছর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন বছরের শুরুতে নতুন উদ্যমে পাঠদান শুরুর বিষয়টিই ছিল প্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীরা নতুন বইও পেয়েছে, কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় এই স্কুলটি শিক্ষার্থীদের জীবনে গত বছরের ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন ক্ষতি। স্কুলটিকে পুলিশ ক্যাম্প বানানোর পেছনে বাস্তব কারণ রয়েছে। ভোটের দিন বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়া স্কুলটি। আর ভোটের পর সেই একই গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয় কাছাকাছি এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকান ও বাড়িঘর। এ নিয়ে সংঘাত-সহিংসতায় একজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয় স্কুলটিতে। শিক্ষা না নিরাপত্তা—এ বিবেচনায় সম্ভবত নিরাপত্তার বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনও তো এভাবে দিনের পর দিন নষ্ট করার সুযোগ নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষার দিকটিকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এখন প্রতিযোগিতামূলক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ক্লাস বন্ধ থাকায় এই বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে। স্কুলটি খোলা রেখে কীভাবে সে অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা যায় বা বিকল্প হিসেবে কোথায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের মনোযোগ প্রত্যাশা করছি। আর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ভার শুধু প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ছেড়ে না দিয়ে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
0 comments:
Post a Comment