বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিনদেশের পার্লামেন্টে বিতর্কের ঘটনা সচরাচর ঘটে না বললে কমই বলা হবে; বরং বিরল শব্দটিই এ ক্ষেত্রে যথার্থ হতে পারে। বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, ওয়েস্টমিনস্টারের উভয় কক্ষ—হাউস অব কমন্স এবং হাউস অব লর্ডসে প্রশ্ন উত্থাপন বা মন্ত্রীর বিবৃতির দৃষ্টান্ত আছে।
কিন্তু গত কয়েক দশকে শুধু বাংলাদেশ বিষয়ে বিশেষ বিতর্ক অনুষ্ঠানের কথা ইউরোপ বা আমেরিকার কোথাও হওয়ার তথ্য খুঁজে পাচ্ছি না। গত বছর প্রথম এ ধরনের একটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে—রানা প্লাজার প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর। সেই বিতর্কের উদ্দেশ্য ছিল শ্রমিকদের অধিকার, কাজের নিরাপত্তা এবং ন্যূনতম মজুরির মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা। এরপর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে গত ডিসেম্বরে যুদ্ধাপরাধের বিচারে কাদের মোল্লার ফাঁসির বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে আলোচনা এবং প্রস্তাবের কথা জানা গেল। তারপর, এ বছরের শুরুতেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পার্লামেন্টের তিনটি উদ্যোগ এবং প্রতিটিই বাংলাদেশের প্রধান দুই দলের রাজনৈতিক কলহের আপসহীনতায় সৃষ্ট অচলাবস্থা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে তেমন একটা বিতর্ক ছাড়াই গৃহীত হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক বাস্তবতার বিষয়ে সমঝোতার আহ্বান জানানোর প্রস্তাব। আর গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) একই দিনে মাত্র ঘণ্টা চারেকের ব্যবধানে লন্ডন এবং স্ট্রাসবুর্গে দুটি বিতর্ক।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের বিতর্ক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে আহত করে বলে তার প্রতিবাদ জানানো যুক্তিসংগত হলেও অন্যগুলোর ক্ষেত্রে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া অচিন্তনীয় বলেই ধারণা করি। যদিও দলকানা বুদ্ধিজীবীদের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ‘নির্বাচনী প্রহসনে’র সমালোচনায় সোচ্চার বিদেশিদের অন্যদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সরকার এসব স্বার্থান্ধ বুদ্ধিজীবীর মন্ত্রণায় কান দেবে না বলেই আশা করি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দুটি বিতর্কই বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। হাউস অব কমন্সে সেদিনকার উপস্থিতির চিত্রটি তেমন একটা আশাপ্রদ না হলেও বিতর্কের গুণগত মান ছিল খুবই সমৃদ্ধ এবং ধারালো। ওই একই দিনে একই সময়ে পার্লামেন্টের অন্য আরেকটি কক্ষে সে সময় চলছিল একজন অভিজ্ঞ এমপির স্মরণসভা, যে কারণে উপস্থিতি ছিল কম। এই বিতর্কে কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাব (মোশন) ছিল না। কোনো কোনো খবরে বিভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলা হলেও বাস্তবে কোনো প্রস্তাব পাসের বিষয় ছিল না। হাউস অব কমন্সের কার্যবিবরণী (হ্যানসার্ড) দেখলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রতিমন্ত্রীসহ যে ১৩ জন আলোচনা করেছেন এবং অন্য যাঁরা নানা প্রশ্ন বা মন্তব্য করেছেন, তাঁদের কোনো সময় বাঁধা ছিল না। ফলে, তাঁরা মন খুলে বলেছেন। বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, নিজেদের নির্বাচনী এলাকার বাংলাদেশিদের কথা বলেছেন, কেন বাংলাদেশ তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও তাঁরা ব্যাখ্যা করেছেন। ২০০৬ সালের রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সেনাসমর্থিত সরকারের নির্বাচনী সংস্কারের প্রশংসা যেমন ছিল তাঁদের বক্তৃতায়, তেমনি ছিল দুই নেত্রীকে মাইনাস করার রাজনীতির বিপত্তি এবং রাজনৈতিক নিপীড়নের সমালোচনা। তবে, তাঁদের কণ্ঠে সবচেয়ে বেশি ছিল হতাশা এ কারণে যে ওই রাজনৈতিক সংকট থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিকেরা কোনো শিক্ষা নেননি। তাঁদের আরেকটি হতাশার বিষয় ছিল যে রাজনীতিকদের বিবাদের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ক্রসফায়ারে মৃত্যুর কথাটি তাঁরা যেমন নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন, তেমনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংঘাতে বেঘোরে প্রাণ হারানো নিরীহ মানুষের ক্ষেত্রেও তা উচ্চারণ করেছেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিতর্কটি ছিল মাত্র ৩০ মিনিটের এবং তাতে প্রায় তিন ডজন ্রএমইপি অংশ নেন। ফলে আলোচনার সূচনাকারী ছাড়া আর কেউই মিনিট খানেকের বেশি বলার সুযোগ পাননি। তবে অধিবেশনকক্ষে উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বিতর্কের জন্য ১৪ জানুয়ারি প্রস্তাব (মোশন) জমা পড়ে ছয়টি। ছয়টি রাজনৈতিক গোষ্ঠী—দ্য গ্রিনস ইউরোপিয়ান অ্যালায়েন্স, ইউরোপিয়ান কনজারভেটিভস অ্যান্ড রিফর্মিস্টস গ্রুপ, সোশ্যালিস্টস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস, অ্যালায়েন্স অব লিবারেলস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস ফর ইউরোপ (এএলডিই), ইউরোপিয়ান ইউনাইটেড লেফট অ্যান্ড নরডিক গ্রিন লেফট এবং ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি। এই ছয়টি মোশনই আমি পড়েছি। অনেক ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে মিল থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্থক্যও ছিল। বিএনপিকে জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গ ছাড়ার আহ্বানটি ছিল শুধু এএলডিইর প্রস্তাবে। পরে ১৫ জানুয়ারি এসব রাজনৈতিক গোষ্ঠী একটি সম্মত প্রস্তাবের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় এবং সেই অভিন্ন প্রস্তাবে জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গ ছাড়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়। জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গ ত্যাগের এই আহ্বানে আওয়ামী জোটের খুশি হওয়ার কারণ থাকলেও তাদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে পুরো প্রস্তাবের মূল বার্তা হচ্ছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেউই প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচন হিসেবে মানছেন না।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট—উভয় স্থানের বিতর্কেই কতগুলো অভিন্ন বিষয় লক্ষণীয়। প্রথমত, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক সহিংসতা এবং অস্থিরতায় হতাশা ও নিন্দা। দ্বিতীয়ত, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সমঝোতা। তৃতীয়ত, রাজনৈতিক বিরোধীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, নিপীড়ন বন্ধ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। চতুর্থত, সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সহিংসতা বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতায় উদ্বেগ এবং বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে দেখার প্রত্যাশা। এ ক্ষেত্রে প্রধান দুই দলের একে অন্যকে দায়ী করার প্রবণতার বিষয়ে সচেতন ইউরোপীয় জনপ্রতিনিধিরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। পঞ্চমত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং জবাবদিহি না থাকায় উদ্বেগ। ষষ্ঠত, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগকে যথাযথ হিসেবে অভিহিত করে তার প্রতি সমর্থন জানালেও তাঁদের সবাই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ব্রিটিশ এমপিদের উদ্বেগ হচ্ছে বিচার-প্রক্রিয়ার মান সম্পর্কে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাক্ষী এবং আইনজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়।
ব্রিটিশ এমপিদের সমালোচনার একটা বড় অংশজুড়ে ছিল বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের ভূমিকা। র্যাবকে ঘাতক বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে তাঁরা বিভিন্ন গুম ও খুনের ঘটনার জন্য র্যাবকে দায়ী করে তাদের জবাবদিহির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। এমনকি, র্যাব ভেঙে দেওয়ার দাবি জানানোর আহ্বানও এই বিতর্কে শোনা গেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিতর্কে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, প্রধান তিনটি দলের এমপিরাই তাঁদের নিজস্ব মতামত দিয়েছেন। ফলে, কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান মেইন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আবশ্যকতা স্বীকার না করলেও তাঁর দলেরই রিচার্ড ফুলার ও রেহমান চিশতি বলেছেন যে, ওই ব্যবস্থা ছাড়া অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। আর এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন বিতর্কের সহ-উদ্যোক্তা লেবারের সায়মন ড্যানচুক।
উভয় বিতর্কেই জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজত প্রসঙ্গ আলোচিত হলেও কেউই সরাসরি নাম উল্লেখ করে কোনো দলকে নিষিদ্ধের কথা বলেননি। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত দলগুলোকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানানো হলেও সেখানে কোনো দলের নাম কেউ উল্লেখ করেননি। জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গ ত্যাগ করার আহ্বান অবশ্য এসেছে উভয় পার্লামেন্ট থেকেই। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আহ্বানটি ছিল সরাসরি বিএনপির প্রতি। কিন্তু, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিস্তারিত আলোচনায় জামায়াতের প্রসঙ্গটি এলে অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিয়ে রেহমান চিশতি এমপি প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হলে তা দেশটিতে গোপন উগ্রপন্থার উত্থান ঘটবে কি না। এর জবাবে বাংলাদেশি-অধ্যুষিত পপলার এলাকার এমপি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত জিম ফিটজপ্যাট্রিক বলেন যে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, সব দলের উচিত হবে জামায়াতকে সঙ্গে না রাখা। তবে অন্যদের জামায়াতকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
যে তিনটি পার্লামেন্টে বাংলাদেশের সমসাময়িক সংঘাতের রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক এবং প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, সেগুলো বিশ্বের সমৃদ্ধ অর্থনীতিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানির বাজারগুলোও ওই ইউরোপ এবং আমেরিকায়। বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা (বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বা এডিবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে) দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই দুই মহাদেশের দেশগুলোর ভূমিকা ব্যাপকভাবে পরিব্যাপ্ত। আধুনিক প্রযুক্তির উৎস হিসেবেও তাদের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কম নয়। তারপর প্রবাসী আয়ের উৎস
বিবেচনায় নিলে এসব দেশের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্বই আলাদা। তাদের জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা কর্কশ শোনাতে পারে, পরামর্শগুলো মধুর না হয়ে তেতো মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলো উপেক্ষা করা নিজেদের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। বেলারুশের স্বৈরশাসক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো, রাশিয়ার নব্য জার পুতিন অথবা উত্তর কোরিয়ার অভিনন্দনে পুলকিত হওয়ার স্বাধীনতা আমাদের নিশ্চয়ই আছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতের অভিনন্দনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুধু সেটুকু অনুগ্রহের ওপর নির্ভরশীল থেকে বাকি বিশ্বকে ‘কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না’ কথাটা শোনানো কতটা যৌক্তিক, তা ভেবে দেখা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এসব বিতর্ককে অনেকটা সিনক্রোনাইজড (তাল মেলানো) নাচ মনে হতে পারে। এটা কারও পক্ষেই নিশ্চিত করা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি তা নাকচ করাও অসম্ভব। কারণ, পাশ্চাত্যের রাজনীতিকদের মধ্যে সমন্বয় ঘটাটা অস্বাভাবিক নয়, তবে বাংলাদেশকে নিয়ে তেমনটি হয়ে থাকলে তা যথেষ্ট ভাবনার বিষয়।
এখানে আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভালো, বিশ্বরাজনীতিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সুনির্দিষ্ট বিতর্ক বিশেষ ধরনের ভূমিকা রেখে থাকে। পাঠকদের এ ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেব সিরিয়াবিষয়ক বিতর্কের কথা। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সীমিত আকারে সামরিক অভিযান পরিচালনার কথা প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষণা করার পর ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে ব্রিটেনসহ নেটো জোট সামরিক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। ওই অভিযানের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে হাউস অব কমন্সে বিরোধী নেতা এড মিলিব্যান্ড বিতর্কের সূচনা করলে সেই বিতর্কের পর সরকার ভোটে হেরে যায়। ফলে, ব্রিটেন পরিকল্পিত সামরিক অভিযান থেকে সরে আসে। আর তারই সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও ফরাসি পার্লামেন্টেও বিতর্ক হয় এবং পাশ্চাত্য জোট আরেকটি সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়।
কামাল আহমেদ: প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন।
0 comments:
Post a Comment