বারবার নির্যাতিত হয়ে অবশেষে শোধ নিতে বাবার প্রাণ কেড়ে নিলেন ২৩ বছর বয়সী মেয়ে। ভারতের পশ্চিম দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকায় গত ২৯ এপ্রিল রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘাতক মেয়ে ও তাঁর দুই ছেলেবন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) রণবীর সিং বলেন, কুলভিনদর কাউর নামের ওই তরুণী তাঁর দুই বন্ধুর সাহায্যে গত ২৯ এপ্রিল রাতে ৫৬ বছর বয়সী বাবাকে হত্যা করেন। পুলিশ কুলভিনদর এবং তাঁর দুই বন্ধু প্রিন্স সানধু (২২) ও অশোক শর্মাকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, কুলভিনদর ওই রাতে বাড়ির ফটক খুলে দুই বন্ধুকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তাঁরা ঘুমিয়ে থাকা দলজিত সিংয়ের ওপর চড়াও হন এবং ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালান। এরপর কুলভিনদর ও তাঁর বন্ধুরা ধারালো ভাঙা কাচ দিয়ে দলজিতের বুক চিরে পেসমেকার বের করে ফেলেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁরা দলজিতের পা ও গলা তার দিয়ে বেঁধে লাশ পশ্চিম দিল্লির খায়ালা এলাকায় একটি খালের কাছে ফেলে দেন। পরের দিন সকালে পুলিশ দলজিতের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে ক্রিকেটের স্টাম্প, রক্তমাখা কাপড়, তার, নিহত দলজিতের মুঠোফোন এবং লাশ বহনকারী গাড়িটি জব্দ করেছে। দ্য হিন্দু জানায়, দলজিত সিং ট্রাভেল এজেন্সির গাড়িচালক ছিলেন। তিন বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি ছোট মেয়ে কুলভিনদরকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কুলভিনদর জানান, তাঁর বাবা ৩০ এপ্রিল ভোর পাঁচটার দিকে ট্যুরের জন্য বের হয়ে যান। কিন্তু পরবর্তী সময় জেরার মুখে কুলভিনদর বাবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। মেয়ে জানান, মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা সব সময় নির্যাতন করে আসছিলেন। তাঁর দুই বন্ধু যখন লাশ ফেলে আসতে যান তখন তিনি বাড়িতে পড়ে থাকা রক্ত পরিষ্কার করছিলেন।
Home »
» নির্যাতনের শোধ নিতে বাবার প্রাণ নিল মেয়ে
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
Post a Comment