'অতি লাভের আশায় আমরা অবুঝের মতো বিনিয়োগ করেছি। আমাদের অর্থ আত্মসাৎ করে কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ইউনিপে টুইউর ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানাচ্ছি।' গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনিপে টুইউর সাধারণ সদস্য ও ট্রেডার্স ফোরামের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন গ্রাহক এসব কথা বলেন।
উচ্চ মুনাফার প্রলোভনে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ইউনিপে টুইউ নিজেদের স্বচ্ছতা তুলে ধরার জন্য কৌশলে কিছু গ্রাহককে দিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো দাওয়াতপত্রে কম্পানিটির ম্যানেজার (অপারেশন) মালিক হাসান নোমান স্বাক্ষর করলেও তিনি এবং কর্তৃপক্ষের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। বরং তাঁদের পছন্দের কিছু গ্রাহক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিপে টুইউর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন!
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁরা স্বীকার করেছেন, বিনিয়োগ করা অর্থ নিয়ে ইউনিপে টুইউ প্রতারণা করতে পারে। এটা ভেবে তাঁরা আতঙ্কিত। অনলাইনে স্বর্ণ কেনার জন্য ইউনিপে টুইউ টাকা নিলেও ওই স্বর্ণ কোনো দিন কোনো গ্রাহক দেখতে পাবেন না। সকাল ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে ইউনিপে টুইউর প্রায় দুই হাজার সদস্য প্রেসক্লাবের সীমানার ভেতরে ঢুকে নিজেদের মধ্যে মারামারি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন। প্রেসক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পুলিশ ও র্যাব এসে তাঁদের প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেয়। সংবাদ সম্মেলনের পরও গ্রাহকরা বিভিন্ন গ্রুপে জোট বেঁধে পরস্পরের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে একজন গ্রাহক অভিযোগ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ইউনিপে টুইউ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবৈধ বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এসব গ্রাহককে ব্যবহার করছে। কিছু লোককে ইউনিপে টুইউর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে।'
আসাদুজ্জামান নামের এক গ্রাহক (আইডি নম্বর-বি-৮৪৬৫১১এফ) বলেন, 'মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম)-এর কথা বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমরা প্রতারণার শিকার হতে চাই না। আমরা সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছি, আমাদের বাঁচান।'
তিনি বলেন, 'ইতিমধ্যে ইউনিপে টুইউ প্রায় চার লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা নিয়েছে। এই টাকায় কঙ্বাজারের রামুতে রাবার বাগান, কঙ্বাজার সমুদ্রসৈকতে হোটেল নির্মাণের জন্য জায়গা, ঢাকার ধানমণ্ডিতে নিজস্ব ভবন ক্রয়, নরসিংদী ও ফরিদপুরে জমি কিনেছে কম্পানিটি। আমাদের বলা হয়েছে, অনলাইনে স্বর্ণ কিনতে টাকা দিলেই ১০ মাসে দ্বিগুণ অর্থ দেওয়া হবে; কিন্তু ওই স্বর্ণ কোনো দিন পাওয়া বা দেখা যাবে না।'
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে যশোর থেকে আসা আরেক সদস্য জাবেদ বলেন, 'গত ১৪ মাসে কম্পানিটি তাঁদের সঙ্গে কোনো প্রতারণা করেনি। ভবিষ্যতে যাতে প্রতারণা করতে না পারে_সেজন্য সরকারের নজরদারি চান দরকার।'
তাহের নামে এক সদস্য সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে ইউনিপে টুইউর প্রশংসা করে বলেন, 'কম্পানিটির উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু ব্যক্তি সরকারি সংস্থাকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। কোনো গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হননি।' ১০ মাসে দ্বিগুণ অর্থ কিভাবে কম্পানিটি তার গ্রাহকদের দিচ্ছে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কম্পানি কিভাবে ব্যবসা করে তার গ্রাহকদের মুনাফা দেবে, তা কম্পানির নিজস্ব বিষয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মুনাফা অর্জন ও বণ্টনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ক্ষমতা কোনো সংস্থার নেই। দুঃখজনক হলো, কিছু সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ইউনিপে টুইউর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে।'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো দাওয়াতপত্রে কম্পানিটির ম্যানেজার (অপারেশন) মালিক হাসান নোমান স্বাক্ষর করলেও তিনি এবং কর্তৃপক্ষের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। বরং তাঁদের পছন্দের কিছু গ্রাহক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিপে টুইউর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন!
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁরা স্বীকার করেছেন, বিনিয়োগ করা অর্থ নিয়ে ইউনিপে টুইউ প্রতারণা করতে পারে। এটা ভেবে তাঁরা আতঙ্কিত। অনলাইনে স্বর্ণ কেনার জন্য ইউনিপে টুইউ টাকা নিলেও ওই স্বর্ণ কোনো দিন কোনো গ্রাহক দেখতে পাবেন না। সকাল ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে ইউনিপে টুইউর প্রায় দুই হাজার সদস্য প্রেসক্লাবের সীমানার ভেতরে ঢুকে নিজেদের মধ্যে মারামারি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন। প্রেসক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পুলিশ ও র্যাব এসে তাঁদের প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেয়। সংবাদ সম্মেলনের পরও গ্রাহকরা বিভিন্ন গ্রুপে জোট বেঁধে পরস্পরের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে একজন গ্রাহক অভিযোগ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ইউনিপে টুইউ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবৈধ বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এসব গ্রাহককে ব্যবহার করছে। কিছু লোককে ইউনিপে টুইউর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে।'
আসাদুজ্জামান নামের এক গ্রাহক (আইডি নম্বর-বি-৮৪৬৫১১এফ) বলেন, 'মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম)-এর কথা বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আমরা প্রতারণার শিকার হতে চাই না। আমরা সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছি, আমাদের বাঁচান।'
তিনি বলেন, 'ইতিমধ্যে ইউনিপে টুইউ প্রায় চার লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা নিয়েছে। এই টাকায় কঙ্বাজারের রামুতে রাবার বাগান, কঙ্বাজার সমুদ্রসৈকতে হোটেল নির্মাণের জন্য জায়গা, ঢাকার ধানমণ্ডিতে নিজস্ব ভবন ক্রয়, নরসিংদী ও ফরিদপুরে জমি কিনেছে কম্পানিটি। আমাদের বলা হয়েছে, অনলাইনে স্বর্ণ কিনতে টাকা দিলেই ১০ মাসে দ্বিগুণ অর্থ দেওয়া হবে; কিন্তু ওই স্বর্ণ কোনো দিন পাওয়া বা দেখা যাবে না।'
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে যশোর থেকে আসা আরেক সদস্য জাবেদ বলেন, 'গত ১৪ মাসে কম্পানিটি তাঁদের সঙ্গে কোনো প্রতারণা করেনি। ভবিষ্যতে যাতে প্রতারণা করতে না পারে_সেজন্য সরকারের নজরদারি চান দরকার।'
তাহের নামে এক সদস্য সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে ইউনিপে টুইউর প্রশংসা করে বলেন, 'কম্পানিটির উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু ব্যক্তি সরকারি সংস্থাকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। কোনো গ্রাহকই ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হননি।' ১০ মাসে দ্বিগুণ অর্থ কিভাবে কম্পানিটি তার গ্রাহকদের দিচ্ছে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কম্পানি কিভাবে ব্যবসা করে তার গ্রাহকদের মুনাফা দেবে, তা কম্পানির নিজস্ব বিষয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মুনাফা অর্জন ও বণ্টনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার ক্ষমতা কোনো সংস্থার নেই। দুঃখজনক হলো, কিছু সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ইউনিপে টুইউর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে।'
0 comments:
Post a Comment