Home » , , » কিডনি ব্যবসায় ঢাকার নামি হাসপাতাল

কিডনি ব্যবসায় ঢাকার নামি হাসপাতাল

Written By Unknown on Friday, September 9, 2011 | 1:41 PM

খোদ রাজধানীর নামিদামি হাসপাতালগুলো জড়িয়ে পড়েছে অবৈধ কিডনি ব্যবসায়। দালালরা প্রথমে কিডনিদাতাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর কিডনি গ্রহীতার তথ্য দালাল চক্রের হাতে তুলে দেন চিকিৎসকরা। বিনিময়ে কিডনিদাতাকে দেওয়া হয় ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, কিডনিসহ দেহের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গোপনে চুরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে এ চক্র।

অর্থের লোভ দেখিয়ে গ্রামের অভাবী মানুষকে কিডনি বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ করছে দালালরা। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার দুটি গ্রামের বেশ কিছু লোক কিডনি বেচাকেনার সঙ্গে যুক্ত। কিডনি কেনাবেচা চক্রের প্রধান তারেক আজিম ওরফে বাবুল চৌধুরী দেশের কিডনি ব্যবসার এমন ভয়ঙ্কর তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হলে তিনি এসব তথ্য জানান। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে তারেককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবৈধভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়, রাজধানীর এমন পাঁচ-ছয়টি হাসপাতালের নামও জানান তারেক। তবে এসব হাসপাতালের জড়িত চিকিৎসকদের নাম বলতে রাজি হননি তিনি। তারেক আজিজের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো। রাতেই পুলিশ কয়েকটি ক্লিনিকে অভিযান চালায়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গ্রেফতারের পরপরই পুলিশের কাছে তারেক পান্থপথের 'কলম্বো এশিয়া হেলথ কেয়ার' ও বনানীর 'ট্রেট ওয়ার্থ' নামে দুই ক্লিনিকের
নাম প্রকাশ করেন, যারা এ অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। রাতেই ডিবি তারেককে সঙ্গে নিয়ে ওই দুই ক্লিনিকে অভিযান চালায়। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি। তারেক বলেন, এদেশের অনেক প্রভাবশালী মানুষের কাছে আমি কিডনি বিক্রি করেছি। ঢাকার নামকরা হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ কিডনি বেচাকেনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে কিডনি বেচাকেনা যে অপরাধ তা এতদিন জানতাম না।
যেভাবে কিডনি বেচাকেনা হয় : তারেক এ অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে বলেন, তিনি ২০০৬ সাল থেকে কিডনি বেচাকেনা করে আসছেন। এ পর্যন্ত অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি কিডনি বিক্রি করেছেন। প্রতিটি কিডনি বিক্রিতে তিনি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পান। আর কিডনিদাতা পান দেড় লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা। তারেক জানান, তিনি রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের মাধ্যমে কিডনি প্রয়োজন_ এমন লোকের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করেন। মূলত চিকিৎসকদের মাধ্যমে কিডনি গ্রহীতার নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায় বলে কিডনি কেনাবেচার টাকার ভাগ দিতে হয় তাদেরও। নাম-ঠিকানা পাওয়ার পর তাদের সঙ্গে চুক্তি করে জয়পুরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনিদাতাদের নাম সংগ্রহ করা হয়। পরে তাদের কিডনি বিক্রিতে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে ঢাকায় নেওয়া হয়। তারেক সাংবাদিকদের জানান, এভাবে তিনি এ পর্যন্ত সাবেক ডিআইজি আফসার চৌধুরীর স্ত্রী, সাবেক ডিআইজি নুরুল আলম ও গাজীপুরের সাবেক এক সাংসদের স্ত্রীসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কিডনি সরবরাহ করেছেন। এটা তার কাছে মানবিক কাজ হিসেবেই মনে হয়েছে বলে জানান তারেক। এ ছাড়া রাজধানীর 'মুমূর্ষু রোগীর জন্য কিডনি চাই' বলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কিডনি সংগ্রহ করতেন তিনি। রাজধানীর বারডেম ও বিএসএমএমইউর দেয়ালে তারেকের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। কিডনি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
যেসব হাসপাতালে কিডনির অবৈধ প্রতিস্থাপন : তারেকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, ল্যাবএইড, ইউনাইটেড হাসপাতাল, কলম্বো এশিয়া হেলথ কেয়ার ও ট্রেট ওয়ার্থ ক্লিনিকসহ বেশ ক'টি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি কিডনি সরবরাহ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করে থাকেন। তারেক বলেন, তিনি কিডনিদাতা সংগ্রহ করে শুধু ঢাকায় নয়, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালেও পাঠিয়েছেন। এ জন্য রাজধানীর পান্থপথের এক ব্যবসায়ী ও বেশ ক'জন চিকিৎসক তাকে সহযোগিতা করেন।
তারেককে জিজ্ঞাসাবাদ : ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তারেক জানান, ঝামেলা এড়াতে কিডনিদাতাকে তারা স্বজন পরিচয় দিতেন। পরে মিথ্যা হলফনামা করে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এক্ষেত্রে কিডনিদাতা বা গ্রহীতা কিছুই জানতে পারেন না। সবকিছুই দালাল ও চিকিৎসকদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ডিবির সহকারী কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, তারেক কিডনি বেচাকেনায় রাজধানীর কয়েকটি বড় হাসপাতালের নাম বলেছেন। তবে এর সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেননি। তার দেওয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর দুটি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। কিডনি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও দালালদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে অভিযান চালানো হবে।
ডিবির সংবাদ সম্মেলন :সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান জানান, রাজধানীতে কিডনি বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত তিনটি গ্রুপের সন্ধান পেয়েছেন তারা। প্রতিটি গ্রুপে সাত-আটজন করে সদস্য রয়েছে। তিনি বলেন, দরিদ্র লোকজনকে নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে কিডনি বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ করে এ চক্রটি। তবে এসব দালাল কিডনিদাতাকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বেশির ভাগ টাকাই মেরে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাটের কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল করিম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়, ৫০-৬০ জন লোক কিডনি দিয়ে মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছেন। খবরটি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে খোঁজখবর নিতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় কালাই উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ৩৮ কিডনি বিক্রেতার নাম-পরিচয় সংগ্রহ করেন। যারা ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। প্রস্রাব-পায়খানা বন্ধসহ তাদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
যেভাবে গোয়েন্দা জালে তারেক : ডিবি পুলিশ মূলহোতা তারেকের সহযোগী সাইফুল ইসলাম দাউদকে বাগেরহাটের মোল্লাহাট থেকে গ্রেফতার করে। সাইফুল বুধবার জয়পুরহাট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কিডনি বেচাকেনার কথা স্বীকার করে মূলহোতা হিসেবে তারেকের নাম জানায়। এর আগে ২৮ আগস্ট কালাই উপজেলার বহুতি গ্রামের আবদুস ছাত্তার, গোলাম মোস্তফা, আবদুল করিম ওরফে ফোরকানকে এবং ৩ সেপ্টেম্বর মোশাররফ হোসেন নামে এক দালালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তারেককে।
পুলিশ জানায়, তারেকের আসল নাম বাবুল চৌধুরী। তার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট হোসেনপুর গ্রামে। তারেক নিজেকে কখনও তারেক হোসেন আবার কখনও তারেক আজিম বা বাবুল চৌধুরী পরিচয় দিতেন। ঢাকার কয়েকটি ব্যাংকে নামে-বেনামে তার বিপুল অঙ্কের টাকা এবং শ্যামলী ও মিরপুরে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে।
আইনে যা রয়েছে : মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯-এর ৯ ধারায় বলা হয়েছে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুস্থ স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি অন্যের দেহে সংযোজনযোগ্য কিডনি, হৃদপিণ্ড, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, অস্থি, চর্ম, টিস্যুসহ ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময়ে কোনো সুবিধা লাভ, সেই উদ্দেশ্যে কোনো বিজ্ঞাপন প্রদান বা প্রচার চালাকে পারবে না। একই আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী এ আইন লঙ্ঘন করলে সর্বনিম্ন তিন থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। আইনে বলা হয়েছে, আত্মীয়র মিথ্যা পরিচয়ে কেউ কিডনি বিক্রি করলে দাতা ছাড়াও ক্রেতা, সহায়তাকারী দালাল ও কিডনি সংযোজনে জড়িত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
দালাল চক্র : কিডনি ব্যবসার মূলহোতা তারেক হোসেন। তার সহযোগী ও দালাল চক্রের সদস্যরা হলো_ সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, আখতার আলম, জাহান আলম, আবদুল ওহাব, ফারুক হোসেন, রেজাউল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, সৈয়দ আলী, মোকাররম হোসেন, রুহুল আমিন, আবদুল মান্নান ও মোজাম।
আমাদের জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, বাবুল চৌধুরীকে ঢাকায় গ্রেফতারের পর গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জয়পুরহাটে নেওয়া হয়েছে। জেলার কালাই থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তারেক আজিম।
এদিকে এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া কিডনি পাচার চক্রের দালাল সাইফুল ইসলাম দাউদ বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে কিডনি পাচারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর গতকাল গ্রেফতার হওয়া অন্য আসামি আবদুস সাত্তার কিডনি কেনাবেচার সঙ্গে নিজে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে উভয়েই বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ৩০ থেকে ৪০টি কিডনি পাচারে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যা বলছে
এদিকে কিডনি পাচারকারী দালাল চক্রের প্রধান রাজধানীর নামিদামি হাসপাতালের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ১৯৯৯ অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়ের বাইরে অন্য কারও মধ্যে কিডনি আদান-প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, কিডনিদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে আত্মীয়তার সপক্ষে গ্রহণযোগ্য তথ্য-প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই অস্ত্রোপচার করা হয়।
ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক মেজর (অব.) ডা. মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে আত্মীয়তার সপক্ষে কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কি-না তা যাচাইয়ের পরই অপারেশন শুরু হয়। কাগজপত্র যাচাইয়ে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড রয়েছে। তিনি বলেন, দালালের খপ্পরসহ অন্যান্য অপকর্ম বন্ধ হোক_ সেটি আমরা চাই। কিন্তু এ ধরনের ঘটনার মারপ্যাঁচে প্রতিস্থাপন চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হলে কিডনি বিকল রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বারডেম হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরুর পর ৮৯টি সফল প্রতিস্থাপন হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রণীত আইন মেনে প্রতিস্থাপন হয় এবং দাতা-গ্রহীতা উভয়ের পারস্পরিক সম্পর্কের দলিলপত্র যথাযথভাবে পরীক্ষা এবং হাসপাতালে সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় দালাল বা তৃতীয় কোনো পক্ষের সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞপ্তিতে এ অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের আইনানুগ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ সমকালকে বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোনের বাইরে কেউ দাতা হলে সেগুলো যাচাই করার চেষ্টা চালানো হয়। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে আনা অঙ্গীকারনামা দেখে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই আমরা। কিন্তু এর মধ্যে যে এত ভুতুড়ে ব্যাপার লুকিয়ে রয়েছে, তা গণমাধ্যমে প্রকাশের আগে জানা ছিল না। দালাল চক্রের মূলহোতা ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টতার যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণগোপাল দত্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দেন। সমকালকে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। দালাল চক্রের অপকর্মের সঙ্গে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা মোটেই জড়িত নন। নিয়ম মেনেই কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে। অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে অপকর্মকারীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু