প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে গত ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
গতকাল বিকালে গণভবনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেন, সবাইকে মনোনয়ন দিতে পারবো না। তবে শীতের পিঠা খাওয়াতে পারবো। তিনি ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু শত বাধা উপেক্ষা করে দেশবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভাগে ৩৬টি সিট। আবেদন পেয়েছি ৮২২টি। আমি খুব আনন্দিত। এত উৎসাহ উদ্দীপনা এটাই বড় কথা। নারী জাগরণ বলতে যা বোঝায় এখানে তাই ঘটে গেছে। গণভবনের মাঠ সত্যিই ধন্য হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পার্লামেন্টে অংশ নেয়ার জন্য আপনারা এগিয়ে এসেছেন এটাই বড় অর্জন। রাজনীতি একদিনে শেষ হয়ে যায় না। যার যার এলাকায় কাজ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধী দলের নেতা, সংসদ উপনেতা সবাই মহিলা। এটা বিশ্বে কোথাও নেই। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর মেয়েদের অবস্থান ছিল না বললেই চলে। ডিসি, এসপি, সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, সহকারী জজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডর, ওসি, ইউএনও প্রত্যেকটি পদে যেন মহিলারা পদ করে নিতে পারে তা আমরা করে দিয়েছিলাম। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করে দিই। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। প্রথম মহিলা স্পিকার নারী করেছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একে একে সব জায়গায় যেন আমাদের বোনদের জন্য স্থান থাকে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সবাই যোগ্য ও অভিজ্ঞ। তবে প্রার্থী অনেক, তাই সবাই সুযোগ পাবেন না। তিনি বলেন, হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। সামনে উপজেলা নির্বাচন। এছাড়া পৌরসভা, সিটি করপোরেশনেও আপনারা সুযোগ পাবেন। প্রার্থী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আবেগের বশবর্তী হয়ে অথবা যোগ্যতার চেয়ে ব্যক্তিগত প্রিফারেন্স দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করবো না। যোগ্যতা অনুসারেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ড. গওহর বিজভী, এইচ টি ইমাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, কাজী জাফরউল্লাহ, নূহ-উল আলম লেলিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩৬টি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের ৮২২জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
হাসিনাকে অভিনন্দন ইংলাকের
তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। কূটনৈতিক চ্যানেলে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় ইংলাক সিনাওয়াত্রা আশা করেন, বর্তমান সরকার দুই দেশের সম্পর্ক আরও প্রসার ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানান।
0 comments:
Post a Comment