তালেবানদের সহিংস কর্মকান্ডের জন্য অজুহাত দেয়া বন্ধ করতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিলাওয়াল ভূট্টো জারদারি।
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এর প্রধান ইমরান খানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তালেবানদের বিরুদ্ধে শক্ত সামরিক ব্যবস্থা না নিয়ে দেশের মানুষকে হতাশ করছে তারা। যারা দেশের নাগরিকদের হত্যা করছে, স্বসস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করছে এবং হামলার দায় স্বীকার করছে তাদের সহিংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তথাকথিত জাতীয় নেতাদের কথা না বলার কোন কারণ দেখি না বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টো এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়াল রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশের পর থেকেই জঙ্গীবাদ ও সামরিক ইস্যুতে স্পষ্টভাষী হিসেবে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এধরনের মন্তব্যে নিজের সে অবস্থানকেই আরও জোরালো করলেন তিনি। সংসদ সদস্য না হলেও পিপিপি’তে (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে বিলাওয়ালের। ২০১২ সালে নারী শিক্ষাকর্মী মালালা ইউসুফজাইয়ের উপর তালেবান হামলার ঘটনাটি টেনে এনে তিনি বলেন, মালালার মত মানুষেরা হামলার স্বীকার হয় কেননা দেশের তথাকথিত নেতাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস নেই; অথচ ১৬ বছরের একটি স্কুলছাত্রীর সে মনোবল ছিল। আমরা সবাই যদি একসুরে কথা বলি তাহলে তারা সবাইকে তো মেরে ফেলতে পারবেনা। তিনি আরও বলেন, আমি আমার মাকে হারিয়েছি তালেবানদের হাতে- আমার জন্য অনেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, এটা অন্যতম কারণ যে আমি তালেবানদের বিরুদ্ধে খোলামেলা কথা বলতে পারি। কিন্তু ইমরান খান, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তাদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা তো আমার তুলনায় বেশি। কাজেই তালেবানদের সহিংস কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কথা না বলার তাদের কোন কারণ নেই। তালেবানদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তেমন কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সম্প্রতি মনে হয়েছিল নওয়াজ শরীফ আলোচনা প্রক্রিয়া বন্ধের ঘোষণা দিতে পারেন। বরং তিনি মধ্যস্ততাকারীদের শেষবারের মতো আরেকটি সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তেহরিক-ই-তালেবানের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করতে মধ্যস্ততাকারীদের কমিশন গঠন করা হয় তড়িঘড়ি করে। এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, এটা চরম হতাশাব্যঞ্জক। শুধু তাদের জন্যই নয় যাদের জীবন নিয়ত হুমকির মুখে থাকে বরং তাদের জন্যও হতাশাব্যঞ্জক যারা প্রতিদিন প্রাণ হারায়।
0 comments:
Post a Comment