Home » , » অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা ছিল নূরউদ্দীন ও মাহবুবের

অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা ছিল নূরউদ্দীন ও মাহবুবের

Written By Unknown on Monday, September 5, 2011 | 8:22 PM

ড়াই লাখ মার্কিন তারবার্তা ফাঁস করেছে উইকিলিকস। ফাঁসের তালিকায় বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার অন্দরমহলও। সাবেক সেনাপ্রধান ও ’৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ নূরউদ্দীন খান ২০০৪ সালে তৎ কালীন জোট সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎ খাত করে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিলেন। ২০০৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন বার্তায় এমন কথাই বলেছিলেন। গত ৩০ আগস্ট জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস হ্যারি কে টমাসের পাঠানো সেই তারবার্তাটি ফাঁস করেছে।

‘সম্ভাব্য অভ্যুত্থানে সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের’ শিরোনামের ওই তারবার্তা থেকে জানা যায়, নূরউদ্দীন খান তৎ কালীন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারকে উৎ খাত করে দুই বড় দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন। নূরউদ্দীন খানের মতে, বাংলাদেশের পরিবারতান্ত্রিক সরকার ও ইসলামি জঙ্গিবাদের কবল থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারপদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করা। এতে ভবিষ্যতে দুই নেত্রী খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব পথ রুদ্ধ হবে। নূরউদ্দীন খান দুই থেকে তিন বছর মেয়াদি সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চান।
হ্যারি কে টমাস নূরউদ্দীনের প্রস্তাব শুনে সঙ্গে সঙ্গে এর বিরোধিতা করেন। তিনি সাবেক সেনাপ্রধানকে জানিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎ খাতের কোনো পরিকল্পনা সমর্থন করবে না। তিনি নূরউদ্দীনকে হুঁশিয়ার করে দেন, তৎ কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
তারবার্তায় বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নূরউদ্দীন খান ভোজনের টেবিলে যোগ দেন। সেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। সেখানে হ্যারি কে টমাস তাঁকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই গণতন্ত্রের সমর্থক ও তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কামনা করে। সংবিধানবহির্ভূত কোনো প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক সরকার উৎ খাত করার পরিকল্পনা তারা অনুমোদন করতে পারে না। বিশেষ করে, সামরিক অভ্যুত্থান তাঁর দেশ কিছুতেই মেনে নেবে না বলে তিনি নূরউদ্দীনকে জানিয়ে দেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের জবাবে নূরউদ্দীন খান তাঁকে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এমন দুজন নারীর (শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া) কাছে জিম্মি, যাঁরা কখনোই দেশ ও জাতির স্বার্থের কথা বিবেচনা করে নিজেদের মতপার্থক্য দূরে ঠেলে রাখতে পারেন না। নূরউদ্দীন খান বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশটির সেনাবাহিনীকে একটি দেউলিয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। এ অবস্থার জন্য তিনি সরাসরি তৎ কালীন চারদলীয় জোট সরকারকে দায়ী করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে (২০০৪) সেনাবাহিনীর শীর্ষ সাতজন কর্মকর্তাই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাই মেজর (অব.) সাইদ এস্কান্দারের সহপাঠী। যোগ্যতা না থাকার পরও শুধু অনুগত থাকার কারণে এসব পদে তাঁদের বসানো হয়েছে। নূরউদ্দীন এই সাতজনকে ‘পরশ্রীকাতর সাত’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি হ্যারি কে টমাসকে আরও বলেন, বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর রাজনৈতিকীকরণ শুরু হয়েছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রথম বিএনপি সরকারের সময় থেকে (১৯৯১-৯৬)। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজনৈতিকীকরণের প্রবণতা আরও বেড়েছে।
নূরউদ্দীন খান রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসকে প্রস্তাব দেন তাঁর পরিকল্পনাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি হবেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের তদানীন্তন কমান্ড্যান্ট আবু তৈয়ব মুহাম্মদ জহিরুল আলম (যিনি জেনারেল জহির নামে পরিচিত)। তিনি দাবি করেন, জেনারেল জহির গণতন্ত্রের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যোগ্য নেতাদের এক পতাকাতলে নিয়ে এসে অন্তর্বর্তীকালীর সরকার গঠন করবেন। দুই থেকে তিন বছর মেয়াদি সেই সরকার জেনারেল জহিরের নেতৃত্বে একটি নতুন খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করবে এবং দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে সেগুলোকে শক্তিশালী করে তুলবে। একই সঙ্গে সরকার বিদেশি বিনিয়োগও আকৃষ্ট করবে। সবশেষে তারা একটি সর্বজনস্বীকৃত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
তারবার্তা থেকে জানা যায়, আলোচনার একপর্যায়ে নূরউদ্দীন খান হ্যারি কে টমাসকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার সব সময়ই সেনাবাহিনীর তরফ থেকে অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করে। এমনকি তারা সাইদ এস্কান্দারের ব্যাচমেটদেরও বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, এ বছরের শুরুতেই (২০০৪) মেজর জেনারেল রোকনকে কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল হিসেবে বদলি করা হয়েছে। কারণ, সরকারের চোখে তিনি একটি হুমকি।
নূরউদ্দীনের এই কথার পিঠে রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস মন্তব্য করেন, মেজর জেনারেল রোকন খালেদা জিয়ার ভাই সাইদ এস্কান্দারের একজন কোর্সমেট। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাদের অন্যতম, যিনি একটি সেনা অভ্যুত্থান সফলভাবে সংঘটনের ক্ষমতা ও মেধা রাখেন।
নূরউদ্দীন খান হ্যারি কে টমাসের কাছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কেও নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। ২০০৪ সালের গোড়ার দিকে নূরউদ্দীন খান আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর দেশের মানুষের কাছ থেকে যে ধরনের সহানুভূতি শেখ হাসিনার পাওয়ার কথা ছিল, তা তিনি পাননি। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করার পরিবর্তে শেখ হাসিনা কেবল হরতাল ও অবরোধ দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চাইছিলেন। এতে তিনি জনপ্রিয়তা হারান। এই পর্যায়ে নূরউদ্দীন হ্যারি কে টমাসকে বলেন, এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই দেশের বিদ্যমান পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির একমাত্র বিকল্প হতে পারে।
নূরউদ্দীন আরও বলেন, প্রথমত, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো বরাবরের মতো দেশে ভীতি ছড়াবেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করবেন এবং এর মাধ্যমে অর্থনীতিকে ডোবাবেন। তিনি একইভাবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহানা সম্পর্কে বিষোদগার করে বলেন, তাঁরাও তারেক-কোকোর মতো দুর্নীতিবাজ ও অর্থলোলুপ।
একপর্যায়ে নূরউদ্দীন খান দেশের বিদ্যমান দুরবস্থার জন্য নিজেকেও আংশিক দায়ী করেন। তিনি বলেন, স্বৈরশাসক লে. জেনারেল এরশাদ যখন গণ-অভ্যুত্থানের মুখে রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, তখন পাকিস্তানের তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল আসলাম বেগ (যিনি নূরউদ্দীনের একজন বন্ধু ও সাবেক সহকর্মী) নূরউদ্দীনকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। নূরউদ্দীন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে আসলাম বেগ তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এরশাদের পর পাকিস্তান কাকে সমর্থন দিতে পারে। আসলাম বেগের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি পাকিস্তানকে বিএনপির প্রতি সমর্থন দেওয়ার কথা বলেন। তিনি আসলাম বেগকে জানিয়েছিলেন, বিএনপিতে অনেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ছাড়া কিছু ব্যবসায়ী শ্রেণীও দলটিতে আছে, যাঁরা বাংলাদেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষমতা রাখেন।
তারবার্তায় বলা হয়, ওই সময় পাকিস্তান বিএনপিকে মদদ দেওয়ার জন্য তার গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে ব্যবহার করছিল। অন্যদিকে ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) আওয়ামী লীগকে মদদ দিচ্ছিল। নূরউদ্দীন খান বলেন, উভয় দেশ এখনো (২০০৪) এই দুই দলকে মদদ জুগিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের মল্লযুদ্ধের ভূমিতে পরিণত হয়েছে। নূরউদ্দীন খান হ্যারি টমাসকে জানান, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় ভারত আওয়ামী লীগের ওপর পুরোপুরি খুশি ছিল না। সে সময় তাদের গোয়েন্দা সংস্থা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলকেই অর্থসহায়তা করেছিল। বিএনপির চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান ‘র’-এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, তাঁদের দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন ও সে দেশে গ্যাস রপ্তানির বিষয়ে তিনি তাঁর মা খালেদা জিয়াকে রাজি করাবেন। অবশ্য পরবর্তী সময়ে তিনি তা করতে ব্যর্থ হন। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ২০০৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নয়াদিল্লি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।
নূরউদ্দীন বলেন, ২০০৬ সালের নির্বাচনে জেতার জন্য বাংলাদেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দলই ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তিনি আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বইপত্র নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চারদলীয় জোট সরকারের পদক্ষেপের কড়া সমালোচনাও করেন। একই সঙ্গে তখনো পর্যন্ত সিলেটে তদানীন্তন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ও মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ওপর গ্রেনেড হামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নূরউদ্দীন বলেন, সরকার এই মুহূর্তে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না শুধু ইসলামি দলগুলোকে খুশি করার জন্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে একটি আলোচনার কথাও ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তায় উল্লেখ করেছেন হ্যারি কে টমাস। ওই বার্তায় বলা হয়, ২০০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে তদানীন্তন সরকারি দল বিএনপির সাংসদ লে. জেনারেল মাহবুবের আলাপ হয়। সেই আলাপে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই সেনা অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আশা করে। যুক্তরাষ্ট্র সবুজ সংকেত দিলেই তারা অভ্যুত্থান ঘটাবে।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ১৯৯৬ সালে একটি বড় ধরনের সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্ব বহন করে।
মাহবুবুর রহমান হ্যারি কে টমাসের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি হয়তো আরও অন্তত একটি প্রজন্ম পরিবারতন্ত্রের মধ্যে ঘুরপাক খাবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সেনাবাহিনীই একমাত্র সংগঠিত প্রতিষ্ঠান এবং তারা বেসামরিক প্রশাসনে শিগগির হস্তক্ষেপ করতে চায় না।
হ্যারি টমাস উল্লেখ করেন, মাহবুবুর রহমান তাঁকে জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কিছু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই করবে না।
লে. জেনারেল (অব.) নূরউদ্দীন খান এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎ খাতের এ ধরনের প্রস্তাব আমি কাউকে দিইনি। আমি সব সময় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকব। ১৯৯০ সালে আমি না থাকলে ওই সময় এরশাদের পতনও হতো না, গণতন্ত্রও আসত না। তাই আমাকে নিয়ে এ ধরনের গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা অসত্যই নয়, অবান্তরও।’
সাবেক সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘২০০৪ সালে আমি তো গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলাম না। রাস্তার মানুষ ছিলাম। এ ধরনের একজন মানুষের পক্ষে কি এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব? যে কেউ সহজেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’
লে. জেনারেল (অব.) আবু তৈয়ব মুহাম্মদ জহিরুল আলম এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে কেউ সরকারপ্রধান করার প্রস্তাব দেবেন—এমন কোনো আভাসও তিনি কখনো পাননি। এই প্রথম এ ধরনের একটি বিষয় শুনলেন।

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. Edu2News - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু